ডিএনসিসির ৬ করবস্থানের জন্য ব্যবহার করা যাবে অ্যাপ
গ্রেভিয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট ডিএনসিসি নামে একটি অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। কবরস্থানে না গিয়েও একজন সেবাগ্রহীতা এই অ্যাপে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রদান করে মরদেহ দাফনের জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
স্মার্ট ডিজিটাল কবরস্থান ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় এমন একটি অ্যাপভিত্তিক সেবা এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। বৃহস্পতিবার গুলশানে ডিএনসিসির নগর ভবন থেকে এই অ্যাপটির উদ্বোধন করেছেন সংস্থাটির মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথমে ৬টি কবরস্থান এ অ্যাপ সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছে। আর এই কবরস্থানগুলো হলো- বনানী কবরস্থান, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান, রায়ের বাজার কবরস্থান, উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর কবরস্থান, উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর কবরস্থান ও উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মুখপাত্র মকবুল হোসাইন জানান, স্মার্ট কবরস্থান ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমটি বাস্তবায়নে ডিএনসিসি ও আইসিডিডিআরবি যৌথভাবে কাজ করেছে। এতে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে আইসিডিডিআরবি।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, এই অ্যাপটিতে কবরস্থানে দাফনদের তথ্যভাণ্ডার থাকবে, পাশাপাশি দাফন সনদ সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া বহু পুরাতন কবরের অবস্থান কোথায় ছিল, কার নামে কোন জায়গায় ঠিক কবর দেওয়া হয়েছিল, বর্তমানে কবর দেওয়ার জন্য কোথায় ফাঁকা জায়গা আছে, কোন পুরাতন কবরের ওপর নতুন কবর বসবে কবরস্থান সংক্রান্ত এমন যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে।
অ্যাপটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, কবরস্থানে কত কবর আছে, কোথায় কবরের লোকেশন ছিল একটা জেনারেশন পরে আর কেউ কিন্তু এই তথ্য জানবে না। তবে আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছি এখন ডিজিটাল ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে আত্মীয় স্বজনরা অনেক বছর পরেও এই তথ্য জানতে পারবেন। কবর কোথায় ছিল এটা নিয়ে কেউ দিশেহারা আর হবে না। আমরা যদি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ডেটা রাখতে পারি তাহলে তারা অনেক বছর পরেও জানতে পারবে এসব তথ্য।
তিনি আরও বলেন, এটা আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। চ্যালেঞ্জ নিয়েও আমরা ম্যাপিং কাজ শুরু করেছি। পরে কবরস্থানে বড় বড় ডিজিটাল স্ক্রিন থাকবে, আমরা সেখানে দেখতে পাবো কবরের তথ্য। এগুলোকে টোটাল ম্যানেজম্যান্টের মধ্যে আনতে, হাতের মুঠোয় আনতে আমরা কাজ করছি। আমাদের ঢাকা উত্তরের ছয়টি কবরস্থান ডিজিটাইলেজেশন করার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। আমরা এটার এমন সেবা দিতে চাই যেন নাগরবাসীর পাশাপাশি বিদেশেও যারা আছেন তারা যেন তাদের স্বজনদের কবরের সার্বিক তথ্য হাতের মুঠোয় পায়। পাশাপাশি কবর কোথায় দেবে, কোথায় ফাঁকা আছে তার সার্বিক তথ্য পেয়ে যাবে ঘরে বসে অ্যাপের মাধ্যমে।
এএসএস/এমএ