ডিএসসিসির ৫ কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মাঠে নেমেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরিধান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ নানা পদক্ষেপ পরিপালনে কাজ করছে সংস্থাটি। এরমধ্যেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব পড়েছে ডিএসসিসিতে। গত এক সপ্তাহে ডিএসসিসির পাঁচজন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ সিটির প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মুনান হাওলাদার, মহা-ব্যবস্থাপক (পরিবহন) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন, জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের এবং রাজস্ব বিভাগের বাজার শাখার কর কর্মকর্তা আবুল খায়ের।
বিজ্ঞাপন
এদিকে সাধারণ মানুষের মাস্ক পরা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করতে মাঠে নামছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মোজাম্মেল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস নোটিশে এ অভিযানের বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ওই নোটিশে ডিএনসিসির আওতাভুক্ত এলাকায় জনস্বার্থে মাস্ক পরিধান, যত্রতত্র বর্জ্য নির্গমন, নির্মাণাধীন স্থাপনার কারণে সৃষ্ট বায়ুদূষণ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণসহ স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এর জন্য নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের চাহিদা অনুযায়ী আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ প্রেরণের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলেই এ অভিযান পরিচালনা করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার। শনিবার (৩ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, দ্রুত বেড়ে যাওয়া করোনা সংক্রমণ রোধ করতে লকডাউনের চিন্তা করা হয়েছে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। সবশেষ চলতি বছরের ২ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে নয় হাজার ১৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এপর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ছয় লাখ ২৪ হাজার ৫৯৪ জন।
এএসএস/এসএসএইচ