ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে বিএনপি কোনো বিরোধিতা করেনি বলে দাবি করেছেন দলটির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।

তিনি বলেন, বিএনপি থেকে মোদিবিরোধী কোনো স্লোগান দেওয়া হয়নি। মোদির সফরের সূত্র ধরে হেফাজত ইসলামের আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপিকে কেন জড়ানো হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলেন হারুন।

শনিবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে আওয়ামী লীগের সিনিয়র সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদি সফর নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটা সহিংস ঘটনার সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততার অভিযোগ তোলেন। পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তার জবাব দেন হারুন।

হারুন বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা লাশ উপহার দিলাম। আমরা কী শান্তিপূর্ণভাবে বাংলাদেশের কোথাও সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে পেরেছি? বিএনপি থেকে মোদিবিরোধী কোনো স্লোগান দেওয়া হয়নি। ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ঢাকায় সব কর্মসূচি বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। তাই আমরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে সীমিত পরিসরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। জিয়াউর রহমানের মাজারেও সীমিত পরিসরে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। কারণ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ জন্যই আমরা কর্মসূচিগুলো সীমিত করে দিয়েছিলাম।

সরকারে উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করছে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারতেন। এর আগেও ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে হেফাজতের সঙ্গে সরকার আলোচনা করেছে। তাহলে মোদির সফরের আগে এ রকম আলোচনা কেনো করা হলো না? আলোচনা না করে এখন কেনো বিএনপিকে জড়ানো হচ্ছে?

বিএনপির এ নেতা বলেন, আজকে যদি মত প্রকাশের স্বাধীনতা বন্ধ করে দেন তাহলে সন্ত্রাসবাদ, উগ্রবাদ ও ভিন্নমত অবশ্যই সৃষ্টি হবে। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক চর্চাগুলোকে মুক্ত করা দরকার। মত প্রকাশের জায়গাগুলো আজ রুদ্ধ হয়ে গেছে। সেই অধিকারগুলো নিশ্চিত করা হোক। আমি বিতর্ক বাড়াতে চাই না। আজকের সংকট হচ্ছে গণতন্ত্রের সংকট। এ সংকটের জন্য জাতি আজকে কঠিন অবস্থার মধ্যে পতিত হয়েছে।

এইউএ/এসকেডি