প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, দেশের অগ্রযাত্রা রোধ করতে অতীতের মতো জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। এই ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশের চলমান উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে জনসাধারণকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে।

রোববার (২০ আগস্ট) ইউজিসি অডিটোরিয়ামে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও আদর্শের ওপর এক আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার পর দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে উন্নয়নের ধরায় ধাবিত করেন। কিন্তু পরাজিত শক্তির অব্যাহত ষড়যন্ত্রের ফলে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন। সেই ধরনের ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। দেশের জনগণকে তাই সকল অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। তা না হলে আবারও মুখ থুবড়ে পড়বে বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। সেই আক্রোশে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। এই হত্যায় সবচেয়ে লাভবান হয়েছেন জিয়াউর রহমান, শাহ আজিজ ও জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ ও বঙ্গবন্ধুর খুনিরা।

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর আলমগীর বলেন, বাঙালির সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীনতা, আর এটি এনে দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির দুর্ভাগ্য স্বল্প সময়ে তাকে হারাতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা যারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে, তাদের রায় দ্রুত কার্যকর করার ব্যবস্থা নিতে হবে।

কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে দেশের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। দেশের চলমান উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে পরাজিত শক্তি এখনো তৎপর আছে। সকল বাধা ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে অদম্য বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাবে।

অনুষ্ঠানে ইউজিসি’র জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন, গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলাম, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ; জামিনুর রহমান, পরিকল্পনা ও উন্নয়নের বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, জেনারেল সার্ভিসেস এস্টেট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক জাফর আহম্মদ জাহাঙ্গীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমএম/এসকেডি