সারাদেশে হিমায়িত চেম্বার গড়ে তোলা হবে
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশব্যাপী ডাকঘরের নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল কমার্স উদ্যোক্তাদের ব্যবহারের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এতে দ্রুত সময়ের মাধ্যমে শাকসবজিসহ পচনশীল পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ সম্ভব হবে।
এ লক্ষ্যে দেশের ৬৪ জেলার শর্টিং সেন্টারে (প্রধান জায়গায়) হিমায়িত চেম্বার গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। শনিবার (৩ এপ্রিল) রাতে সারাদেশে ন্যাশনাল ই-কমার্স এজেন্ট তৈরিতে ডাক অধিদফতরের উদ্যোক্তাদের জন্যে মাস্টার ট্রেইনার প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এটুআই কর্মসূচি ‘একশপ’ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
বিজ্ঞাপন
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, চিঠির যুগের অবসান হলেও প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডাকঘরের দেশব্যাপী বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে। ফলে ডিজিটাল কমার্স যুক্ত হওয়ায় নতুনরূপে আবির্ভূত হবে ডাক বিভাগ।
পুরাতন হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সব কার্যক্রমকে ডিজিটাল করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। মোস্তাফা জব্বার বলেন, ইতিমধ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডিজিটাইজেশন বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে ডিজিটালাইজেশন না করলে সম্পূর্ণ সুফল পাওয়া সহজ হবে না।
তিনি বলেন, ডিজিটাল কমার্স করোনাকালীন লকডাউনে কেনাকাটা সচল রেখেছে। আগামী দিনগুলোতে ডিজিটাল কমার্সের চাপ অনেক বেড়ে যাবে। ডিজিটাল কমার্স শহরের পণ্য যেমন গ্রামে নিয়ে যাবে, ঠিক তেমনি গ্রামের পণ্য শহরে নিয়ে আসবে। আমরা যদি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষিত করতে পারি, তবে ডিজিটাল কমার্সের ব্যাপক সক্ষমতা গড়ে তুলতে পারব।
তবে এসব ক্ষেত্রে ডিজিটাল ডাকঘরের উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল সক্ষমতা তৈরি করতে হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা মাস্টার ট্রেইনার তৈরি করছি। ব্যবসার জন্য যতটুকু ডিজিটাল দক্ষতার দরকার, সেটা করতে হবে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, মাস্টার ট্রেইনাররা ডিজিটাল কমার্সের বিষয়ে নিজে জ্ঞান অর্জন করবে। এরপর তারা অন্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলবে। এভাবে তারা ডিজিটাল কমার্স সম্প্রসারণে অবদান রাখবে। দেশব্যাপী ডাক বিভাগের সাড়ে আট হাজার উদ্যোক্তাকে পর্যায়ক্রমে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।
অনুষ্ঠানে ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন এবং এটুআই-এর কর্মকর্তা রেজোয়ানুল হক জামি বক্তব্য রাখেন। এ সময় ডাক অধিদফতরের কর্মকর্তারা ডিজিটাল কমার্স সম্প্রসারণে তাদের মতামত তুলে ধরেন। সবশেষে মাস্টার ট্রেইনার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়।
একে/এমএইচএস