প্রতীকী ছবি

রাজউকের আলোচিত নিম্নমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক ও সাবেক সিবিএ নেতা মো. ওবায়দুল্লাহ হক ও তার স্ত্রীর ১১টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ওই হিসাবগুলোতে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ১০২ কোটি টাকার লেনদেনের সন্দেহজনক তথ্য-প্রমাণ পাওয়ায় এমন অনুরোধ করে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন>>> কোটিপতি বানানোর কারখানা রাজউক : অনুসন্ধানের নির্দেশ

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউর মহাব্যবস্থাপক বরাবর সম্প্রতি দুদক উপ-পরিচালক মো. ইয়াছির আরাফাত ওই চিঠি দিয়েছেন। বুধবার (২৩ আগস্ট) সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, চিঠিতে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হিসাব ফ্রিজ করার অনুরোধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে ১০২ কোটি টাকার সন্দেহজনক তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার পর বিষয়টি দুদককে খতিয়ে দেখার অনুরোধ করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধানে নামে দুদক।

আরও পড়ুন>>> গোল্ডেন মনিরের সহযোগী রাজউক কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক

চিঠিতে যেসব হিসাব জব্দের কথা বলা হয়েছে- স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের উত্তরা শাখায় ওবায়দুল্লাহর নিজ ও মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফ্রেন্ডশিপ বিজনেস কপোরেশনের নামে সঞ্চয়ী হিসাব, তার নিজ নামের সোনালী ব্যাংকের রাজউক ভবন কর্পোরেট শাখার হিসাব ও মালিকানাধীন ফ্রেন্ডশিপ ফার্নিচার অ্যান্ড ডোর নামের সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের বুয়েট শাখার হিসাব।

চিঠিতে ওবাদুল্লাহর জনতা ব্যাংক লিমিটেডের রাজউক ভবন শাখার হিসাব ও মেসার্স ফ্রেন্ডশিপ বিজনেস কপোরেশনের নামে সঞ্চয়ী হিসাব, ওবায়দুল্লাহর দি প্রিমিয়ার ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখার দুটি হিসাব এবং তার স্ত্রী আয়েশা আক্তারের গৃহনির্মাণ ঋণ সংক্রান্ত আইপিডিসি ফাইন্যান্সের গুলশান শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের মৌচাক শাখা ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের শান্তিনগর শাখার হিসাবও ফ্রিজ করার অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গোল্ডেন মনিরের অবৈধ সম্পদ ও প্লট জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানে ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর রাজউকের দুই সিবিএ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রাজউকের নিম্নমান সহকারী মো. ওবায়দুল্লাহ।

আরএম/এসএম