যাত্রীশূন্য কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্ম

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। বিধিনিষেধের অংশ হিসেবে বন্ধ রয়েছে সব গণপরিবহন। বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। এতে অনেকটা জনমানবশূন্য হয়ে পড়েছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন।

সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, বন্ধ রয়েছে টিকিট কাউন্টার। কাউন্টারে নেই টিকিটপ্রত্যাশীদের চিরচেনা দীর্ঘ লাইন। রেলওয়ে স্টেশনের বাইরে ও ভেতরে পাহারায় আছেন রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনী ও রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা। 

কাউন্টারে নেই যাত্রীদের আনাগোনা 

যেহেতু যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ, তাই প্লাটফর্মের দিকে জনসাধারণকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রধান ফটক পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায়, কর্মচারীরা প্লাটফর্ম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় ব্যস্ত। অন্যদিকে প্লাটফর্মের লাইনে নিথর দাঁড়িয়ে আছে ইঞ্জিনবিহীন রেলের কোচগুলো। যাত্রী না থাকার সুযোগে চড়ুই পাখিরা দখলে নিয়েছে প্লাটফর্ম। আয়েশি ভঙ্গিতে ঘুমাতে দেখা গেছে প্লাটফর্মের কুকুরগুলোকে। এসময় পণ্যবাহী একটি কার্গো ট্রেনকে প্লাটফর্মে প্রবেশ করতে দেখা যায়। তথ্যকেন্দ্র গুলোতেও নিশ্চুপ বসে সময় পার করছেন তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তারা।

যাত্রী না থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছেন সহায়তা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মীরা

স্টেশনের একজন কর্মী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটি একটি জনবহুল এলাকা। সব সময় যাত্রীতে স্টেশন পূর্ণ থাকে। কিন্তু সরকারের নিষেধাজ্ঞায় ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। এমন একটি রেলওয়ে স্টেশনকে কখনও ফাঁকা দেখতে ভালো লাগে না। আমরা গুটিকয়েক কর্মী ছাড়া এখানে আর কেউ নেই।

ইঞ্জিনবিহীন রেলের বগিগুলো রেললাইনে রাখা হয়েছে 

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন তথ্য-প্রযুক্তির যুগ। তাই সরকারের সিদ্ধান্ত সবাই জানে। এজন্য কোনো যাত্রীকে স্টেশনে আসতে দেখা যায়নি। আমাদের সব যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুটি কার্গো ট্রেন চট্টগ্রামের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে এবং একটি কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছেছে।

এমএইচএন/আরএইচ