সাক্ষরতা বাড়াতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি বলে উল্লেখ করেছেন আলোচকরা। তারা বলেন, বর্তমান সময়ে স্বাক্ষরতার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের জীবনমান বৃদ্ধিতে সাক্ষরতা সহায়তা করে। টেকসই উন্নয়নের জন্য সাক্ষরতা তথা শিক্ষা অপরিহার্য।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) শিশু কল্যাণ পরিষদে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষ্যে এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আলোচনা সভায় আলোচকরা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, সাক্ষরতার মাধ্যমে একজন মানুষের ক্ষমতায়ন ঘটে এবং সে স্বাধীনভাবে চিন্তা করার সামর্থ্য অর্জন করে। শিক্ষা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত ও প্রসারিত করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত ১৯৭২ সালে সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। 

তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং কর্মরত শিক্ষকদের চাকরি সরকারিকরণ করেন। বর্তমান সরকারও শিক্ষাবান্ধব। 

শিক্ষার উন্নয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান সরকার নানামুখী প্রশংসনীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। ফলে দেশে শিক্ষিতের হার ও পাশাপাশি সাক্ষরতার হার বেড়েছে। সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত করতে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান লায়ন কাজী মো. খালেকুজ্জামান আমিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল, লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা নর্থের প্রেসিডেন্ট লায়ন মোহাম্মদ আবুল বাশার, সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ আলী, রাইট টক বাংলাদেশের সভাপতি এম হাফিজ প্রমুখ।

এএসএস/এমজে