করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর নির্দেশনার পরও আজ তৃতীয় দিনের মতো ঘরে ফেরা মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে গাবতলীতে। নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করে আজ থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।   

সে মোতাবেক ঢাকার ভেতরে গণপরিবহন চলাচল শুরু হলেও ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে গণপরিবহন চলাচল এখনও শুরু হয়নি। যার ফলে ঘরে ফেরা মানুষদের গাবতলী পর্যন্ত এসে বাস থেকে নেমে যেতে হচ্ছে। 

বুধবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর গাবতলীর বাস টার্মিনাল ফাঁকা দেখা গেলেও গাবতলীর শেষ সীমানায় বাড়িফেরা মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।  

আক্কাস আলী নামে একজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কাজকাম না থাকায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। কোনো পরিবহন চলছে না, তাই পায়ে হেঁটেই রওনা দিয়েছি। দেখি সামনে থেকে যদি গাড়ি পাই তাহলে ভেঙে ভেঙে চলে যাব। তারপরও নিশ্চিত না যে, কিভাবে বাড়িতে যাব। যদি সামনে থেকে গাড়ি পাই তাহলে যাওয়াটা সহজ হবে। রওনা যেহেতু হয়েছি, সেহেতু একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে। অনিশ্চিত যাত্রায় রওনা হয়েছি।

মোজাম্মেল নামের আরেকজন বলেন, কাজ বন্ধ, তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি। ঢাকাতে থাকলেই খরচ হবে, যেটা বহন করার মতো পরিস্থিতি আমার নেই। বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সাথে কয়েকদিন সময় কাটালে মনটাও ভালো লাগবে। লকডাউন শেষ হলে আবার ঢাকাতে ফিরবো। তবে সরাসরি গাড়ি চলাচল না করায়, ভেঙে ভেঙে যাওয়ার চিন্তা করেছি। গুলিস্তান থেকে সরাসরি গাবতলী এসেছি। এখন হেঁটে আমিনবাজার যাব। তারপর সাভার। এভাবে যেতে হবে। 

এর আগে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত ১৮ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে গত ৫ এপ্রিল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। নির্দেশনা অনুসারে জরুরি পণ্যবাহী পরিবহন ছাড়া রাস্তাঘাটে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ারও নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু শুরুর দিন থেকেই রাজধানীতে নির্দেশনা পালনে ঢিলেঢালা ভাব দেখা যায়।  

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দেন, দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশন এলাকায় বুধবার (৬ এপ্রিল) থেকে সকাল-সন্ধ্যা গণপরিবহন চলবে। তবে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।

এসআর/এনএফ