ফাইল ছবি

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ লাখ ২১ হাজার পিস নিষিদ্ধ মাদক টাপেন্টাডলসহ মাদক কারবারি চক্রের দুই মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। তবে প্রাথমিকভাবে আটক হওয়া অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় জানায়নি সংস্থাটি।

এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৪২ হাজার পিস 'টাপেন্টাডল' মাদক জব্দসহ পাঁচ যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটক যাত্রীরা সবাই কলকাতা ফেরত যাত্রী ছিলেন। রোগী সেজে তারা কলকাতা যাওয়া আসা করতেন। মূলত তারা নিষিদ্ধ টাপেন্টাডলের চালান আনতেন।

চক্রের এক সদস্যকে রোগী সাজিয়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাঠানো হতো। এরপর সেখান থেকে বিমানে করে বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে ফিরে আসত। প্রতি মাসে তারা অন্তত ৪/৫ বার এভাবে যাতায়াত করতেন তারা।

জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ১ লাখ ২১ হাজার পিস টাপেন্টাডল জব্দ করা হয়েছে। এটি এযাবৎ টাপেন্টাডলের সর্ববৃহৎ চালান। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আগামীকাল বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।

উল্লেখ্য, ব্যথানাশক হিসেবে বহুল ব্যবহৃত ট্যাপেন্টাডল ওষুধকে মাদক হিসেবে সেবন ও বিক্রি করছে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীরা। এজন্য ট্যাপেন্টাডলকে ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের তফসিলে যুক্ত করে গত ২০২০ সালের ৮ জুলাই গেজেট প্রকাশ করে সরকার।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও ঢাবি’র ফার্মেসি বিভাগের সুপারিশের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬৫ ধারা অনুযায়ী ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসেবে ট্যাপেন্টাডলকে তফসিলভুক্ত করা হয়। মাদক হিসেবে ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও এটির বেচা-বিক্রি, চোরাচালান বন্ধ নেই।

জেইউ/এসকেডি