‘দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন অনুসারে কাজ করে থাকে, স্যাংশনের চাপ কেন থাকবে? এখানে আতঙ্কিত হওয়ার বিষয় নেই’

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনীতিবিদ থেকে দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ আমেরিকার স্যাংশন আতঙ্কে আছেন। এরই মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক তলব করেছে। দুদকের দায়িত্বশীল প্রধান কর্তা হিসেবে আপনিও কোনো চাপ অনুভব করেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, চাপ কেন থাকবে? আমরা আমাদের দেশের আইন ও দুদকের আইন অনুসারে কাজ করব। এখানে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আপনার এগুলো নিয়ে আসতেছেন, এটা আনফেয়ার।

প্রায় দুই বছর আগে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশের র‌্যাব এবং এ বাহিনীর সাত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি বাংলাদেশিদের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা এবং এর প্রয়োগ শুরু করেছে দেশটি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্যাংশনের আওতা আরও বাড়বে বলে শোনা যাচ্ছে।

স্যাংশনের পেছনে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাত রয়েছে এমন অভিযোগ প্রায়ই বিভিন্ন মহল থেকে শোনা গেছে। যেমন চলতি বছরের ৩০ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল দাবি করেছিলেন, ড. ইউনূসের প্ররোচনায় আমেরিকা স্যাংশন দিয়েছে।

তিনি বলেন, কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তিকে ঘায়েল করার জন্য এ পাঁয়তারা করেছেন ইউনূস তার প্রিয়জন হিলারি ক্লিনটনের মাধ্যমে। নোবেলে শান্তি পুরস্কারকে অশান্তির কাজে লাগাতে যুদ্ধবাজ আমেরিকার রাজনীতিবিদ হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে গাঁট বেঁধেছেন ড. ইউনূস।

অন্যদিকে ৭ আগস্ট ঢাকায় সফরকালে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ স্যাংশন দুর্নীতি দমনের হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমকে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকার দিচ্ছে। স্যাংশন যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে, শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়। ভবিষ্যতে এটি ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতে পারে।

নিষেধাজ্ঞা কী?

স্যাংশন যা ইংরেজি শব্দ। এর বাংলা অর্থ নিষেধাজ্ঞা। সহজ কথায় বলতে গেলে একটা দেশ অপর একটা দেশের ওপর শাস্তি হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়। নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়টি বর্তমানে রাষ্ট্রীয়ভাবে বেশ সুপরিচিত। ধরা যাক কোনো দেশ যদি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজ করে কিংবা আন্তর্জাতিক সংস্থার কথা না শুনে কাজ করে তখন তাদেরকে উন্নত রাষ্ট্র বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র বা বড় কোনো সংস্থা যেমন জাতিসংঘ থেকে স্যাংশন আসতে পারে।

আরএম/এমএ