প্রতীকী ছবি

রাজধানীর পূর্ব রাজারবাগে ফাতেমা কানিজ (৪০) নামে এক নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মো. আল-আমিনকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে নিহত ফাতেমার ছোট ভাই মনিরুজ্জামান বলেন, গত ২ অক্টোবর সৌদি আরব থেকে দুলাভাই ও আপা ওমরা করে আসেন। ওমরা থেকে আসার পর দুলাভাই আপাকে বলেন— আমার বাসায় তোমার আসার দরকার নেই, তুমি চলে যাও। পরে আপা আর শ্বশুর বাড়িতে যাননি। দুলাভাই আপাকে সন্দেহ করত যে, তিনি হয়তো পরকীয়ায় লিপ্ত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কিছুদিন যাবত মনোমালিন্য চলছিল। 

তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) আমার বোনের শ্বশুর আমার মাকে ফোন দিয়ে বলে বোনকে পাঠিয়ে দিতে। পরে আমার বোন সেদিনই শ্বশুর বাড়িতে যান। এরপর আজ সকালে জানতে পারি যে, দুলাভাই আমার বোনের গলায় ছুরি ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এতে আমার বোন ঘটনাস্থলেই মারা যান।

তিনি আরও বলেন, আমার বোনকে হত্যার আগে বাইরে থেকে দুলাভাই ভাগনেদের রুমের দরজা লক করে দেন। এরপর ভেতর থেকে তাদের নিজেদের দরজা লক করে দেন। অনেক ডাকাডাকি করলেও তিনি দরজা খোলেননি। পরে শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখা যায় আমার বোন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।

সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করি। তার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যেহেতু ঘটনাটি তার বেডরুমে ঘটেছে, আমরা ধারণা করছি ঘটনাটি তার স্বামী ঘটিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা নিহতের স্বামী আল-আমিনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। এখন পর্যন্ত তিনি হত্যা করেছেন কি না তা স্বীকার করেননি। নিহত ফাতেমা দুই সন্তানের জননী ছিলেন। 

এসএএ/এমএ/কেএ