চোখের জলে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সনাতনী সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসব। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর থেকেই পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে চট্টগ্রাম মহানগরের প্রায় দুই শতাধিক মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এছাড়া বৈরী আবহাওয়ার কারণে এবার অনেক মণ্ডপ থেকে নগরের ফিরিঙ্গিবাজারসহ কর্ণফুলী নদীর বিভিন্ন স্থান ও পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে পূজা সম্পন্ন করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এরপর পুষ্পাঞ্জলি ও শান্তির জল ছিটানোর পর প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সেখানে চসিকের উদ্যোগে সৈকতে আলোকবাতি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সাজসজ্জা, মঞ্চ নির্মাণ, মাইকিং, পানিসহ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

প্রতিমা বিসর্জনে পতেঙ্গা সৈকতে আসা জয় বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্ববাসীর জন্য মঙ্গল কামনা করে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। এক বছর পর আবার এই পৃথিবীতে দেবীর আগমন হবে।

প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম পাদপীঠ। এই নগরে জাতিগত কোনো ভেদাভেদ নেই। শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তি-শৃঙ্খলার সঙ্গে সম্পন্ন হওয়া তারই একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল পাদপীঠ হিসেবে চট্টগ্রামের যে ঐতিহ্য তা রক্ষা করতে হবে।  

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় কাজ করতে হবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী,  নুরুল আমিন, আবদুস সালাম মাসুম, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, চসিকের কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা।

এমআর/এমজে