আজাদ তার প্রেমিকা মালতিকে আদর করে ডাকত সন্ধ্যামালতি। শান্ত, ভদ্র ও নিরীহ প্রকৃতির আজাদ একসময় আটক হয় খুনের অভিযোগে। সে জবানবন্দিতে খুনের কথা অকপটে স্বীকার করে। আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে।

মৃত্যু পরোয়ানা জারির পর জেল সুপার রফিক সাহেব তাকে অনুরোধ করেন খুনের রহস্য বলতে। আজাদ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বলতে শুরু করেন সে কাহিনি...। রহস্যময় খুন আর প্রেমের কাহিনি নিয়ে রচিত গল্প ‘সন্ধ্যামালতি’। বইটির নামকরণও করা হয়েছে গল্পের নামে।

এছাড়া বইটিতে বাবার ডায়েরি, রূপান্তর, শেষ আলিঙ্গন, স্বপ্ন এক্সপ্রেস, প্রেমলীলা, শাড়ি, গল্পের পেছনের গল্প, প্রবাসী বর, পণ্ডিত ও আনন্দাশ্রু নামের গল্প রয়েছে। সমাজে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার নির্যাস পাওয়া যাবে প্রতিটি গল্পে। বইটি মেলায় ৫নং প্যাভিলিয়নে অনিন্দ্য প্রকাশের স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া অনলাইনে রকমারি.কমে থেকেও বইটি সংগ্রহ করা যাবে।

পন্নীর লেখালেখি শুরু ২০০৫ সালে। একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় তার প্রথম লেখা ছাপা হয় দৈনিক যুগান্তরের রম্য ও বিদ্রূপ ম্যাগাজিন বিচ্ছুতে। তারপর থেকে তিনি যুগান্তরের বিভিন্ন পাতায় নিয়মিত লেখালেখি করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর দৈনিক যুগান্তরে সাংবাদিক হিসেবে যোগ দেন। প্রায় সাত বছর সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি দৈনিক যুগান্তরে ফিচার পাতায় নিয়মিত লিখেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রযোজক হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে গল্পসহ নানা বিষয়ে নিয়মিত লিখছেন। গত বছর অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত তার লেখা ‘অদৃশ্য শ্রোতা’ গল্পের বইটিও পাঠক সমাজে বেশ সমাদৃত হয়েছে।

এসএসএইচ