নকশাবহির্ভূত স্থাপনা অপসারণে চার মাস আগে রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এবং সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করেছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। 

অভিযান পরিচালনা করার চার মাস অতিবাহিত হলেও উচ্ছেদকৃত মার্কেটের ভাঙা অংশগুলো সেখানে সেভাবেই ফেলে রাখা হয়েছে। এছাড়া পুরোপুরি উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষ করতেও পারেনি তারা। উচ্ছেদ অভিযান থেমে যাওয়ার পর সেখানকার ভাঙা অংশগুলোর ইট, সুরকি সেখানেই রয়ে গেছে। তার ওপরই ফের বসছে অস্থায়ী দোকানগুলো।

যদিও সিটি করপোরেশন বলছে ভাঙা মার্কেটের অংশে পার্কিং নির্মাণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। উচ্ছেদকৃত মার্কেটের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (উপ-সচিব) রাসেল সাবরিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, যেসব মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, সেখানে আমরা পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আমাদের প্রকৌশলী বিভাগ ইতোমধ্যে প্রাথমিক কাজ করে এনেছে।

এছাড়া এখনও যেগুলো মার্কেটের অবৈধ রুম আছে, সেগুলোও আমরা ভেঙে দেব, এই করোনাকাল পার হলেই। নিচে পার্কিং উপযোগী করতে আমাদের এস্টিমেট ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। পার্কিং উপযোগী করতে যেসব কাজ করা দরকার, সেসব আমরা শিগগিরই করতে শুরু করবো। আশা করছি বেশি সময় আর লাগবে না- যোগ করেন তিনি।

গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মার্কেটের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এর এ, বি ও সি ব্লকের (সিটি প্লাজা, নগর প্লাজা ও জাকের প্লাজা) নয় শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত থেকে অভিযান পরিচালনা শুরু করা হয়।

সিটি করপোরেশনের ওই মার্কেটের গাড়ি পার্কিং, ফুটপাত, সিঁড়ি, গলি, টয়লেট, লিফটের জায়গায় নকশাবহির্ভূত এসব দোকান নির্মাণ করা হয়েছিল। অথচ আইন অনুযায়ী পার্কিং বা নকশাবহির্ভূত স্থানে অন্য কিছু নির্মাণের বিধান নেই। এছাড়া এসব অবৈধ দোকানের কারণে মার্কেটটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবৈধ দোকানগুলোকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজ বাহিনী গড়ে উঠেছে। এসব অনিয়ম বন্ধ করতেই অবৈধ দোকানগুলো ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ডিএসসিসি। অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার পর তা পার্কিং হিসেবে ব্যবহার করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।  

এএসএস/আরএইচ