এ বছরের বইমেলায় ক্ষতির পর্যালোচনা ও পরিমাণের চিত্র তুলে ধরেছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। 

সোমবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে বইমেলা প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতির পর্যালোচনা ও পরিমাণ তুলে ধরেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এ বছর অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্যাভিলিয়ন ও শিশুচত্বরসহ সর্বমোট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৪১৩টি। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট বিনিয়োগ প্রায় ৯০ কোটি টাকা এবং অনুৎপাদনশীল বিনিয়োগ প্রায় ১০ কোটি টাকার মতো। 

অন্যান্য বছর প্রকাশকরা মেলাকে কেন্দ্র করে তাদের বিনিয়োগের প্রায় ৩০ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ টাকা তুলে আনতে পারেন। বাকি বিনিয়োগ সারা বছর সমগ্র দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রেতাদের মাধ্যমে তুলে আনেন। ২০২০ সালের মেলার পর দেশব্যাপী করোনা বিপর্যয়ের কারণে প্রকাশকরা তাদের ৬৫ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ বিনিয়োগকৃত টাকা তুলে আনতে পারেননি। এ বছর তা দাঁড়ালো শতভাগে।

তিনি বলেন, প্রথম ১৪ দিনে ৩০টি প্যাভিলিয়ন বাদে ৩৮৩টি প্রতিষ্ঠানের বিক্রির তথ্য ফরমের চিত্রানুযায়ী গড় বিক্রয় এক কোটি ৫৯ লাখ ৪৭ হাজার ৬৩৭ টাকা ৪২ পয়সা। শেষ ১১ দিনে গড় বিক্রি ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৬১ টাকা ৪০ পয়সা। সুতরাং ২৫ দিনের মোট বিক্রি দুই কোটি ২২ লাখ ৬১ হাজার ৬৯৮ টাকা ৮২ পয়সা। অন্যদিকে বাকি ৩০টি প্যাভিলিয়নে মোট গড় বিক্রি ৮৯ লাখ ৩০ হাজার ২৩০ টাকা।

সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল বলেন, দীর্ঘ এক বছরেরও অধিক সময় অর্থাৎ করোনাকালে বাংলাদেশের সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত বাণিজ্যিক খাত বাংলাদেশের প্রকাশনা জগত। আমরা আশা করেছিলাম, অমর একুশে বইমেলা ২০২১ আয়োজনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত প্রকাশকরা বাণিজ্যিকভাবে কিছুটা লাভের মুখ দেখবো, এবারের বইমেলা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা বইমেলা। কিন্তু করোনার জন্য এ বছরের বইমেলায় অর্থনৈতিকভাবে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ক্ষতির মধ্যে নিপাতিত হয়েছেন প্রকাশকরা।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/আরএইচ