রাজধানীর লালবাগের কালারপাড় এলাকায় মারিয়া (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে চারটায় অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের মা শিল্পী বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার মেয়ে আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী। নেহাল আহমেদ নামে একজনের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। পারিবারিকভাবে আমরা বিয়ের কথাবার্তা বলছিলাম। কিন্তু ছেলের পরিবার থেকে ২ লাখ টাকা, পাঁচটি গহনা ও আসবাবপত্র দিতে বলা হয়। এ নিয়ে আমার বড় মেয়ের সঙ্গে কথা বলে নেহালের মা। পরে আমার মেয়ে নেহালকে ফোন দিলে সে আর ধরে না। আমার মেয়ে নাকি নেহালকে ঘুমের ট্যাবলেটের ছবি পাঠিয়েছে। সেই ট্যাবলেট খেয়ে আমার মেয়ে মারা গেছে। 

আত্মহত্যা করেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। সে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়েছিল। পরে তাকে অচেনতন অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে ডাক্তার মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন।

লালবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহতের মা বলছে ঘুমের ওষুধ খেয়েছে। কিন্তু আমরা সুরতহালে তার গলায় দাগ পেয়েছি। তার মা বলছে ময়নাতদন্ত ছাড়া নিহতের লাশ নিয়ে যাবে। তাদের কথা সন্দেহজনক। তথ্যেও গড়মিল রয়েছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

নিহত মারিয়া নানা-নানি ও মায়ের সঙ্গে লালবাগের আমলীগুলার কালারপাড় এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত। তার বাড়ি শরীয়তপুর জেলার জাজিরায় বলে জানা গেছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি প্রেম ঘটিত কোনো একটা বিষয় আছে। তারা স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। আমরা লালবাগ থানাকে জানিয়েছিলাম, তারা এসে তদন্ত করেছে।

এসএএ/এসএসএইচ