অন্যান্য দিনের তুলনায় ভিড় নেই গাবতলী

করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।  আগামী ১৪ তারিখ থেকে সরকার আরেক দফা কঠোর বিধিনিষেধের ঘোষণা দিয়েছে, যা চলবে সাতদিন।

সরকারের এ বিধিনিষেধ জারির পর থেকেই রাজধানীর গাবতলীতে বেড়েছে ঘরে ফেরা মানুষের ভিড়। কিন্তু মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকালের চিত্র ছিল ভিন্ন। অন্যদিনের তুলনায় আজ সকাল থেকেই অনেকটা চাপ মুক্ত গাবতলী।

তবে, এদিনও পুলিশের সামনেই প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে চেপে যাত্রীরা আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে যাচ্ছেন। কমেছে জনপ্রতি ভাড়াও।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে দূরপাল্লার কিছু পরিবহন যাত্রীদের নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাবতলী টার্মিনালের একজন জানান, রাতে এ. কে ট্রাভেল পরিবহন যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে। তারা জনপ্রতি ভাড়া নিয়েছেন এক হাজার টাকা। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা ঠিকই যাত্রী পরিবহন করেছে।

এর আগে গতকালও সরেজমিনে দেখা গেছে, পুলিশের সামনে দিয়েই যাত্রী নিয়ে আরিচা, পাটুরিয়া গেছে সিটির মধ্যে চলার অনুমতি থাকা বাসগুলো।

মো. ইকবাল নামের একজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন কবে শেষ হবে তাও জানা নেই। তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি। কোনো পরিবহন না থাকায় বেশি টাকা খরচ করে মাইক্রোবাসে যেতে হচ্ছে।

রুমা নামে এক চাকরিজীবী নারী বলেন, লকডাউন কতদিন থাকে, বলা যাচ্ছে না। তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি। তবে ভাড়া কয়েকগুণ বেশি দিয়ে যেতে হচ্ছে। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করেই ঢাকা ফিরবো।

এর আগে গত ৫ এপ্রিল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে প্রথম দফায় সাতদিনের বিধিনিষেধ শুরু হয়। মেয়াদ শেষের আগেই ১৪ তারিখ থেকে বিধিনিষেধের কথা বলা হয় এবং প্রথম দফার মেয়াদ আরও দুদিন বাড়ানো হয়। বিধিনিষেধে সব গণপরিবহন বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও পরে সিটিতে সময় বেঁধে তা চালুর নির্দেশনা আসে। তবে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন একেবারেই বন্ধ রাখার কথা বলা হয়। কঠোর নিষেধাজ্ঞা ১১ এপ্রিল শেষ হলেও এর মেয়াদ বাড়িয়ে ১২ ও ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে।

এদিকে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ১৪ এপ্রিল থেকে সাতদিনের জন্য ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ দিচ্ছে সরকার। এ সময় বন্ধ থাকছে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস। তবে খোলা থাকছে শিল্প-কারখানা। সর্বসাধারণকে এ সময় সতর্ক থাকতে হবে, ঘরের বাইরে আসা যাবে না। শুধু জরুরি সেবা চালু থাকবে। সব যানবাহনও বন্ধ থাকবে।

এসআর/এমএইচএস