সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলেই দেওয়া হচ্ছে মামলা

রাজধানীর গাবতলীতে পুলিশ ধরলেই গাড়ির মালিক-চালকদের গুনতে হচ্ছে তিন হাজার টাকা জরিমানা। সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলেই দেওয়া হচ্ছে মামলা।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সরকারের আদেশ অমান্য করে যাত্রী পরিবহন করায় মোট ৮ জন পরিবহন মালিক-চালককে মামলা দিয়েছেন দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা মো. হাসনাত।

পুলিশের এই সার্জেন্ট ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা যারাই সামনে পড়েছে, তাদেরই মামলা দিয়েছি। এখন পর্যন্ত ৮ জনকে যাত্রী পরিবহনের দায়ে মামলা দিয়েছি। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। তারপরও কিছু কিছু মানুষ বের হয়ে যাচ্ছে।

আগামী ১৪ তারিখ থেকে সরকার আরেক দফা কঠোর বিধিনিষেধের ঘোষণা দিয়েছে, যা চলবে সাতদিন। সরকারের এ বিধিনিষেধ জারির পর থেকেই রাজধানীর গাবতলীতে বেড়েছে ঘরে ফেরা মানুষের ভিড়। কিন্তু মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকালের চিত্র ছিল ভিন্ন। অন্যদিনের তুলনায় আজ সকাল থেকেই অনেকটা চাপ মুক্ত গাবতলী।

এদিনও প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে চেপে যাত্রীরা আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে যাচ্ছেন। কমেছে জনপ্রতি ভাড়াও।

ভাড়া কমার বিষয়ে প্রাইভেটকার চালক রহিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিধিনিষেধের কারণে গত কয়েকদিন ধরেই মানুষ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য এখানে এসে ভিড় জমাচ্ছে। দূরপাল্লার পরিবহন না চলায় তারা প্রাইভেটকার মোটরসাইকেল বা পিকআপে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। গতকালও যাত্রীদের ভিড় ছিল। কিন্তু আজ যাত্রীদের চাপ কম। তাই ভাড়াও কিছুটা কম নিতে হচ্ছে। মোটরসাইকেলগুলো এখানে এসে যাত্রী পরিবহন করায় প্রাইভেটকারগুলো আজ যাত্রী কিছুটা কম পাচ্ছে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মোহাম্মদ আলী নামে এক যাত্রী বলেন, কাল থেকে বিধিনিষেধ শুরু হচ্ছে। অফিসও ছুটি দিয়ে দিয়েছে। তাই রংপুরে চলে যাচ্ছি। এখানে এসে দেখি গাবতলী থেকে রংপুর পর্যন্ত মাইক্রোবাসে ভাড়া চাওয়া হচ্ছে জনপ্রতি দুই হাজার টাকা করে। তার ওপরে ১২ জনের সিটে নেওয়া হবে ১৩ থেকে ১৪ জন যাত্রী। কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না পরিবহনগুলোতে। তারপরেও বাধ্য হয়ে যেতে হবে।

এসআর/এমএইচএস