করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ১৪ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। তবে জরুরি পরিষেবা বিবেচনায় চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 
তিনি বলেন, বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। এজন্য সব পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
 
এর আগে সোমবার (১২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক মো. মমিনুর রশিদ (প্রশাসন) স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত পালনীয় ২০টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, জরুরি পরিষেবা বিবেচনায় বন্দর ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। চট্টগ্রাম বন্দরের নৌ বিভাগ বন্দরে আসা জাহাজের জন্য পাইলটিং সার্ভিস যথারীতি চালু রাখবে। জাহাজের নাবিকদের কােয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা নিয়ে জাহাজ বার্থিং দেবে। এছাড়া ভিটিএমআইএসে ও ভিটিএসএস সার্বক্ষণিক সচল রাখবে। পরিবহন বিভাগ বন্দরে আসা জাহাজে পণ্যের ওঠানামার সব কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা চালাবে এবং নূন্যতম জনবল দিয়ে কাস্টমস বিভাগের দেওয়া ক্লিয়ারেন্সের পর দ্রুত পণ্য ডেলিভারির ব্যবস্থা নেবে।  

এছাড়াও নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগ ২৪ ঘণ্টা বন্দরের নিরাপত্তা কার্যক্রম গ্রহণ করবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ডেলিভারি কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য পরিবহন বিভাগ, শিপিং এজেন্টস, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস, বার্থ অপারেটর, টার্মিনাল অপারেটর এবং অন্যান্য বন্দর ব্যবহারকারীরা কাস্টমস বিভাগকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে।
 
এছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে বন্দর কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি আইসিডি/অফডক, শিপিং এজেন্টস, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডস, বার্থ অপারেটর, টার্মিনাল অপারেটর ও শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে যাতায়তে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরােধ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক নিরাপত্তা, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য বােঝাই করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়া ট্রাক/লরিতে বিশেষ ধরনের স্টিকার লাগানোর ব্যবস্থা করবে। যাতে তারা পণ্য পরিবহনে ঝামেলা মুক্ত থাকে। ওই স্টিকার ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
 
এছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দরের স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য বন্দরে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলে বন্দর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

কেএম/জেডএস