গানে-কবিতায় বুলবুল মহলানবীশকে স্মরণ
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল মহলানবীশকে গান-কবিতায় স্মরণ করেছে তার বন্ধু ও সহযোদ্ধারা।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১, কেন্দ্রীয় নারী কমিটির আয়োজনে এ স্মরণ সভা করা হয়। এসময় বুলবুল মহলানবীশের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গান ও কবিতা পরিবেশন করেন তার বন্ধু ও সহযোদ্ধারা।
বিজ্ঞাপন
স্মরণ সভায় আলোচকরা বলেন, বুলবুল মহলানবীশ বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। একাধারে কবি ও লেখক, সংগীত, নাট্য ও আবৃত্তিশিল্পী হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছিলেন। তিনি টেলিভিশন-বেতার-মঞ্চে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করতেন। দক্ষ সংগঠক ও একজন জীবনমুখী মানুষ ছিলেন তিনি।
সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১’র কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব হারুন হাবীব বলেন, ‘বুলবুল মহলানবীশ সংস্কৃতিমনা, অসাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এখন দেশে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি আবার মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে।’
বিজ্ঞাপন
সভায় বুলবুল মহলানবীশের স্বামী সরিত কুমার লালা বলেন, ‘বুলবুলের সঙ্গে আমার বিবাহিত জীবন কেটেছে ৫৩ বছর। পরিচয় তারও দুই বছর আগে। তার সঙ্গে আমার ৫৫ বছরের স্মৃতি। বুলবুল ছিল প্রচণ্ড জীবনমুখী, সে মানুষকে ভালোবাসত, তার প্রতিদানও পেয়েছে। একটা পূর্ণ জীবন সে যাপন করতে চেয়েছিল। কোনো রকমে বেঁচে থাকা, এটা তার ধাঁচে ছিল না। মৃত্যুর আগের দুবছর কিন্তু সেই জীবন সে যাপন করতে পারেনি। সে বেঁচে ছিল, কিন্তু অসুস্থতার কারণে মানসিকভাবে খুব বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। আজ তাকে নিয়ে স্মরণ সভা করে আপনারা ভালোবাসার প্রকাশ করেছেন।’
সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১, কেন্দ্রীয় নারী কমিটির সভাপতি লায়লা হাসানের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য দেন শব্দ সৈনিক মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল আলম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি নূহ-উল-আলম লেনিন প্রমুখ।
ওএফএ/এসএসএইচ