মহামারি করোনায় দেশের অনানুষ্ঠানিক খাতের সোয়া ৪ কোটি শ্রমজীবী মানুষের জীবন-জীবিকা আজ হুমকির মুখে পড়েছে। এসব কর্মহীন শ্রমজীবীদের জন্য সরকারি উদ্যোগে ত্রাণের ব্যবস্থা করা জরুরি।

বুধবার (১৪ এপ্রিল)বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে রমজান উপলক্ষে শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সংগঠন‌টির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান।

শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও মহানগরী দফতর সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মহানগরী সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, মহানগরী সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল রানা মিঠু প্রমুখ।

শ্রমিক নেতা আতিকুর রহমান বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ায় সরকার আবারও নতুন করে বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে। এ অবস্থায় শ্রমজীবী দিনমজুর মানুষেরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। সবকিছু বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছে দেশের লাখ লাখ মানুষ।

তিনি আরও বলেন, দিনে এনে দিনে খায় এমন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য রীতিমত সংগ্রাম করতে হচ্ছে। করোনার কারণে দেশের অনানুষ্ঠানিক খাতের সোয়া ৪ কোটি শ্রমজীবী মানুষের জীবন-জীবিকা আজ হুমকির মুখে। এসব কর্মহীন শ্রমজীবীদের অবিলম্বে সরকারি উদ্যোগে ত্রাণ দেওয়ার দাবি জানান তি‌নি।

তিনি জানান, লকডাউনে শ্রমজীবীদের দুর্দিন ফিরে এসেছে। বিশেষত রিকশা চালক, ভ্যান চালক, পরিবহন শ্রমিক, দিনমজুর, কৃষি শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, রেস্টুরেন্ট শ্রমিক, চায়ের দোকানদার, দোকান কর্মচারী, ফুটপাতের ছোট ব্যবসায়ীসহ এমন খেটে খাওয়া কর্মজীবীদের এখন ঘরবন্দি থাকতে হবে। দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করা এসব মেহনতি মানুষদের সঞ্চিত কোনো অর্থ-সম্পদ নেই। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে শ্রমজীবী মানুষদের ঘরে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে। বিশেষ করে মাহে রমজানের এই সময়ে শ্রমজীবীদের কাছে সেহেরি ও ইফতারের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের এই কঠিন পরিস্থিতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করতে হবে। কোনো মানব সন্তান যেনো অনাহারে না মারা যায়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। শ্রমজীবী ভাই-বোনেদের খাদ্য সংকট দূর করতে সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসতে হবে।

এসআই/এমএইচএস