ফাইল ছবি

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের হলফনামায় ঢাকা-১৯ আসনে টানা দ্বিতীয়বারের সংসদ সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোহাম্মদ এনামুর রহমানের বিভিন্ন খাত থেকে আয়-ব্যয় দেখানো হয়েছে। এতে দেখা গেছে গত এক বছরে তার নগদ টাকা কমে গেছে, বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ। তবে অন্যান্য খাতে তার আয় বেড়েছে।

হলফনামায় দেখা গেছে, প্রতিমন্ত্রীর নিজের, স্ত্রীর কোনো কৃষি জমি নেই। তবে রাজধানীর পূর্বাচলে অকৃষি জমি আছে মাত্র তিন কাঠা, যার দাম ৬ লাখ টাকা। ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান হিসেবে কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানে তার দায় উল্লেখ করা হয়েছে ৮৭ কোটি ৭২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে রয়েছে এই ঋণ।

মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করা তার হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা যায়।

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, তার নামে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই, আগেও ছিল না। পেশায় তিনি চিকিৎসক। এ ছাড়া এনাম মেডিকেল কলেজ ও এনাম নার্সিং হোমের চেয়ারম্যান তিনি। এনামুর রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা এমবিবিএস। হলফনামায় তার নিজের ও নির্ভরশীলদের আয়ের উৎস উল্লেখ করা হয়েছে। বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ নির্ভরশীলদের কোনো আয় নেই। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত, এফডিআর থেকে প্রতিমন্ত্রী এনামুরের এখন বছরে আয় করেন ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৫৭৩ টাকা। পেশা (চিকিৎসা ইত্যাদি) থেকে আয়ের ঘরে লেখা হয়েছে ‘প্রযোজ্য নহে’। সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সম্মানী ভাতা থেকে আয় হয়েছে ১৯ লাখ ৩১ হাজার টাকা (করমুক্তসহ) এবং ১১ লাখ ৪ হাজার টাকা (করযোগ্য)।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় লেখা হয়েছে, মনোনয়নপত্র দাখিলের তারিখে তার নগদ অর্থ রয়েছে ৪৩ লাখ ৫৪ হাজার ৮৫৭ টাকা। স্ত্রীর নামে কোনো নগদ টাকা নেই।  এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাঁর জমা আছে ১ কোটি ৩৩ লাখ ২৩ হাজার ১১৮ টাকা। স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়। 

বন্ড, ঋণপত্র, স্টক একচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় কোম্পানিতে এনামুর রহমানের শেয়ার রয়েছে ৩ কোটি সাড়ে ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার। পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ১ কোটি ১৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩৭২ টাকা। বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ি ও মোটরসাইকেল রয়েছে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার। স্বর্ণালংকার রয়েছে ৪০ ভরি। ইলেকট্রনিকস সামগ্রীর দাম ৪০ হাজার টাকা।

এমএম/এমএ