চট্টগ্রামে খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কারখানায় গিয়ে নানা অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। নামে প্রসিদ্ধ কোম্পানি হলে বাস্তবে এসব কারখানায় নিয়মের বালাই পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) নগরের কালুরঘাট বিসিক শিল্প এলাকার বিএসপি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অননুমোদিত রঙের ব্যবহার, মেয়াদোত্তীর্ণ কাঁচামাল ও উৎপাদনকৃত পণ্য একত্রে সংরক্ষণ, অসম্পূর্ণ লেভেলিং ও মেয়াদে কারসাজিসহ নানাবিধ অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়। এসব অনিয়মের দায়ে নিরাপদ খাদ্য আইন- ২০১৩ এর সংশ্লিষ্ট বিধানানুযায়ী দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিন কর্ণফুলী মইজ্জারটেক এলাকার নূর সুইটসের কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটিতেও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন, পোড়া তেলের ব্যবহার এবং মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর রাসায়নিক হাইড্রোজ ব্যবহার করে মিষ্টি জাতীয় খাবার উৎপাদনসহ নানা অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়। এসব অনিয়মের দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা আরোপ ও তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।

এর আগে সোমবার প্রসিদ্ধ খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মধুবন সুইটস ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই প্রতিষ্ঠানটিতে খাদ্যপণ্যে অননুমোদিত রং ও রাসায়নিক (হাইড্রোজ) ব্যবহার করতে দেখা যায়। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত কর্মীদের দিয়ে খাদ্যপণ্য উৎপাদন, অসম্পূর্ণ লেভেলিং, পোড়া তেলের ব্যবহারসহ নানাবিধ অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়। এসব অনিয়মের দায়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের ২০১৩ সংশ্লিষ্ট বিধানানুযায়ী তিন লাখ টাকা জরিমানা আরোপ ও তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।

এ ছাড়া ওইদিন হোসেন ফুড অ্যান্ড কোম্পানি (ডায়মন্ড সেমাই এণ্ড নুডলস) কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে নানা অনিয়মের দায়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।

জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোহাম্মদ ফারহান ইসলাম বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুস সোবহানের নেতৃত্বে দু-দিন ধরে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এতে নানা অনিয়মের দায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এমআর/এমজে