নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ভোট নিরুৎসাহিত করে এমন সভা-সমাবেশের অনুমতি না দিতে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। তবে সরকার যেখানে অনুমতি দেবে, সেখানে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। 

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। 

ইসি আলমগীর বলেন, নির্বাচনি আচরণবিধি বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা হয়েছে- নির্বাচনে যদি কেউ বাধা দেয় বা প্রতিহত করে তাহলে আইন অনুযায়ী এটা অপরাধ। আমরা সেটার পরিপ্রেক্ষিতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি যে, এই রকম যদি কোনো রাজনৈতিক দল কর্মসূচি দিয়ে থাকে সেটা করা যাবে না।

শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করার যদি অনুমতি না দেয় তাহলে সেটা মানবাধিকার লঙ্ঘন কি না— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কোনো নিষেধাজ্ঞা নাই। আমাদের বিষয়টা হলো যেকোনো কর্মসূচি বা সভা সমাবেশ করতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। সেক্ষেত্রে তারা সরকারের অনুমতি নেবে। সরকার যেখানে অনুমতি দেবে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আমাদের বক্তব্য হলো যদি নির্বাচনে বাধা দান সংক্রান্ত কোনো সভা সমাবেশ আন্দোলন কর্মসূচি থাকে, সেটাকে যেন তারা অনুমতি না দেন।

বিএনপিসহ অনেকে আসেনি, তাদের যে কর্মসূচি সেগুলো বন্ধে নির্বাচন কমিশন অংশ হলো কি না— এই প্রশ্নে ইসি আলমগীর বলেন, আমি আগেই ক্লিয়ার করি যে, সমস্ত কর্মসূচি যেই দিক না কেন সেটা নির্বাচনের পথে বাধা, হুমকি বা সন্ত্রাসীমূলক এই ধরনের কার্যকলাপের কোনো ভয় দেখায় সেক্ষেত্রে আমরা নিষেধ করেছি। কিন্তু শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বা বক্তব্য বা কোনো সংগঠন করার অধিকার তাদের আছে। সেটা করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে করতে হয়, সেটা করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের অনুমতি দিতে পারবে। এ নিয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নাই।

অংশগ্রহণ যারা করছে না, তাদের সভা সমাবেশ করতে কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে কি না— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা কোনো দলের নাম বলে বলিনি, কে করবে কে করবে না। আমরা বলেছি আমাদের আইনে যেটা আছে নির্বাচনের বিরুদ্ধে যদি কাজ করে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি প্রচলিত নিয়ম মেনে অনুমতি নিয়ে করতে চাইলে সেটা পারবে। 

রাজনৈতিক অধিকার ক্ষুণ্ন হলো কি না— এই প্রশ্নে আলমগীর বলেন, বিএনপি নয় যেকোনো দল যদি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেয়, আমাদের কোনো নিষেধাজ্ঞা নাই।

এসআর/এমজে