বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন তিনি

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়ে গরিব, দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ সায়েদুল আরেফিন। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। চলতি মাসে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ জারির পর থেকেই মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তার হস্তক্ষেপেই উপজেলায় আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায়। 

চলমান কঠোর বিধিনিষেধে নানা পদক্ষেপ নিয়ে ফটিকছড়ি উপজেলার গণমানুষের প্রশংসায় ভাসছেন তরুণ এ ইউএনও। জনকল্যাণমুখী নানা পদক্ষেপের কারণেই সাধারণ মানুষ তার নাম দিয়েছে ‘গরিবের বন্ধু’।

ফটিকছড়ির বাসিন্দা মীর মাহফুজ আনাম বলেন, করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে সবাই সংগ্রাম করছে। তবে কিছু মানুষ যারা সাধারণের চেয়ে অনেক আলাদা। এ মহাসংকটে তারা শুধু নিজের কথা ভাবছেন না, ভাবছেন অন্যদের নিয়েও। এমনই একজন ইউএনও সায়েদুল আরেফিন। গত বছর সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময় উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে অসহায় মানুষের পাশে ‘ভালবাসার থলে’ পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি।

তিনি বলেন, এবারও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কল্যাণে কাজ করে চলছেন তিনি। ফটিকছড়ি সংসদীয় আসনটি বিশাল এলাকা। প্রতিদিন এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাচ্ছেন তিনি। সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণের পাশাপাশি করোনাভাইরাস সম্পর্কে করছেন সচেতন।

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সায়েদুল আরেফিন বলেন, চলমান কঠোর বিধিনিষেধের কারণে অসংখ্য মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছে। তাই আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলায় ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এমনকি এ সময় কেউ যাতে সাধারণ মানুষকে কিস্তি আদায়ে বাধ্য করতে না পারে সেজন্য নজরদারি করা হচ্ছে।

এসকেডি