সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটা নাশকতার প্রতিবাদে ‘আমরাই বাংলাদেশ’ আয়োজিত প্রতীকী পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে প্রতীকী পদযাত্রা শুরু হয়। দুপুরে শাহবাগে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।

এতে আগুনে পুড়ে আহত ব্যক্তি, নিহতদের স্বজন, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, ক্রীড়াবিদ, শ্রমিক, উদ্যোক্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

প্রতীকী পদযাত্রায় আগুনে ঝলসানো প্রতীকী অবস্থানের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয়৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইরিত্রা ঝলসে যাওয়া মা-শিশুর প্রতীকী অবস্থান নেন।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি আজকে ঝলসানো মা। আমার শিশুকেও জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি চাই না এ দেশে আবার কোনো মা ঝলসে যাক। 

ইরিত্রা আরও বলেন, আমি এ দেশে আর কোনো নাশকতা চাই না। বিচার চাওয়ার আগে আমি শুধু অনুরোধ করব, এ দেশের কোন মা-শিশু যাতে এভাবে চলে না যায়। 

শাহবাগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর রাজধানীর শাহবাগে বাসে অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া নাহিদের মা রুনি বেগম বলেন, আমার ছেলেকে কেন তারা পোড়াল? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি বিচার করবেন।

তিনি আরও বলেন, আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমার নাহিদ মা-মা বলে ডাকছে। আমার ছেলেকে কেন হত্যা করল? আমি বিচার চাই। জনগণের কাছে বিচার চাই, কঠিন বিচার চাই, কঠিন শাস্তি চাই।

এ আয়োজন প্রসঙ্গে আয়োজক সংগঠন ‘আমরাই বাংলাদেশ’ বলছে, 'বাসে-ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ, মর্মাহত, স্তম্ভিত। রাজনীতির নামে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর নির্মমতায় আমরা বাকরুদ্ধ।  

এসএইচআর/এসকেডি