করোনা ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধের সময় কর্মহীন হয়ে পড়া চট্টগ্রাম নগরীর অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত এক হাজার প্যাকেট উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০৬ জনকে এক লাখ তিন হাজার টাকা নগদ প্রদান করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ও জিমনেশিয়াম হলে এসব উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ। 

প্রতি প্যাকেট উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল- সাত কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি আলু, এক কেজি চিনি ও একটি সাবান। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ বলেন, হতদরিদ্র কোনো পরিবার যাতে সরকারি ত্রাণ সহায়তার বাইরে না থাকে সে ব্যাপারে কঠোরভাবে তদারকি করা হবে। এ পরিস্থিতিতে কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে সে বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। 

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের গরীব মানুষদের খবর রাখেন। করোনাকালে কেউ যাতে অনাহারে ও কষ্টে না থাকে তা দেখার জন্য তিনি আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় গত বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকেই সমাজের অস্বচ্ছল মানুষদের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়। দুস্থ মানুষদের ঘরে ঘরে গিয়েও ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। 

তিনি বলেন, শুক্রবার এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ও জিমনেশিয়াম হলে দুই জায়গায় এক হাজার অস্বচ্ছল পরিবারের সদস্যদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০৬ জনের মধ্যে ১ লাখ ৩ হাজার টাকা নগদ অর্থ সহায়তা করা হয়েছে। আমাদের কাছে ২০ হাজার প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী মজুদ আছে। প্রতিদিনই আমরা গরীব-অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করব। শুধু মহানগর এলাকা নয়, উপজেলা পর্যায়েও এ কার্যক্রম চলমান।

জেলা প্রশাসক বলেন, সাহায্য চেয়ে আমাদের কাছে যারা টেলিফোন করছেন বা এসএমএস দিচ্ছেন তাদেরকেও সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা সবাই কাজে ফিরে যাব। লকডাউনে একেবারে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। 

উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস.এম জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদ কামাল, স্টাফ অফিসার টু ডি সি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক, এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সজীব চক্রবর্তী প্রমুখ।

কেএম/ওএফ