তিস্তা নদীতে চীনের প্রস্তাবিত উন্নয়ন প্রকল্প বিবেচনা করছে বাংলাদেশ। তবে এ নিয়ে ভারতের আপত্তি থাকলে ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিতে চায় ঢাকা।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।

বাংলাদেশ চীনের কাছে তিস্তা নদীর উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্প প্রস্তাব করেছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে তারা সহযোগিতা করে আসছে। তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশের উন্নয়নমূলক প্রকল্পে সহযোগিতা করার ব্যাপারেও চীন আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং ইআরডি বিবেচনা করে দেখবে।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছিলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে তিস্তা নদী বিষয়ক কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। তিস্তা নদীর উন্নয়নে চীন কাজ করতে আগ্রহী। আশা করছি, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারব।

চীন বলছে, নির্বাচনের পরে তিস্তা প্রকল্পে কাজ শুরু হবে। কিন্তু চীন যেখানে তিস্তার কাজ করবে সেখান থেকে শিলিগুড়ি করিডোর খুব দূরে নয়। শিলিগুড়ি করিডোরকে ভারত চিকেন্স নেক নামেও অভিহিত করে। দেশটি মনে করে, তিস্তা উন্নয়ন কাজের নামে চীন চিকেন্স নেককে নিজেদের কব্জায় নিতে চায়। তাই ভারত চিকেন্স নেকের সামনে চীনের উপস্থিতি দেখতে চায় না। এক্ষেত্রে তিস্তায় চীনের কাজ নিয়ে ভারতের আপত্তি কতটুকু আমলে নেওয়া হবে জানতে চাওয়া হয় সেহলেী সাবরীনের কাছে।

জবাবে মুখপাত্র বলেন, এ রকম অনুমান নির্ভর প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা সহজ নয়। এ রকম কোনো প্রস্তাব যদি থাকে তখন ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনায় এগোতে হবে।

এনআই/এসকেডি