মেট্রোরেল নিয়ে এক ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল মেট্রোরেল ব্যবহারকারীদের ফেসবুক গ্রুপ ‘মেট্রোরেল প্যাসেঞ্জার্স কমিউনিটি-ঢাকা’। ১৫ দিনব্যাপী চলা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন আড়াইশোর বেশি প্রতিযোগী। সেখান থেকে ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন বিচারকরা। প্রতিযোগিতায় সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)।

প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা হলেন— ১) আব্দুল্লাহ আল মামুন, ২) তামিম-ই-মোহাম্মদ, ৩) গাজী মুহাম্মদ নাজমুস সাকিব, ৪) তারিকুল ইসলাম, ৫) শ্রাবণ বর্ষা, ৬) মুহাম্মদ গোলাম সরোয়ার সরকার, ৭) আবু বক্কর সিদ্দিক, ৮) রমজান হিরু, ৯) রাজীব রানা দাস ও ১০) সাগর প্রধান।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন— ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার ধ্রুব আলম, ফটোগ্রাফার এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, রুরাল ডেভলপমেন্ট অ্যাকাডেমির ফটোগ্রাফার আসাফ-উদ-দৌলা, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফি ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ শুভ্র এবং বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি ফটোগ্রাফি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জাহিন খান সলভি।

পুরষ্কার হিসেবে বিজয়ীদের দেওয়া হয় সার্টিফিকেট, হাত ঘড়ি, র‍্যাপিড পাস, পারফিউম, ডায়েরি, চাবির রিং ও কলম। গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে ডিটিসিএর অডিটোরিয়ামে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন।

এদিকে, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে র‌্যাপিড পাসের নতুন ডিজাইনের কার্ড উন্মুক্ত করা হয়। ২০২৪ সালের শুরু থেকে সবার হাতে এই কার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ। ডিটিসিএর মনোনীত এজেন্ট পয়েন্ট ছাড়াও বর্তমানে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের নির্ধারিত শাখাগুলো থেকে সহজেই র‌্যাপিড পাস সংগ্রহ করা যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে একটি কার্ড নিতে গ্রাহককে গুনতে হচ্ছে ৪০০ টাকা। যার মধ্যে ২০০ টাকা কার্ডের জামানত এবং ২০০ টাকা ব্যবহারযোগ্য ব্যালেন্স হিসেবে থাকবে। 

এই কার্ডের ব্যালেন্সের কোনো মেয়াদ থাকবে না। র‌্যাপিড পাস কার্ডধারীরা কোনো প্রকার টিকেট কাটার লাইন ছাড়াই মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারবেন। সেইসঙ্গে এই কার্ডধারীদের প্রতি ভ্রমণেই থাকছে ১০ শতাংশ ছাড়।

আয়োজন প্রসঙ্গে মেট্রোরেল প্যাসেঞ্জার্স কমিউনিটি-ঢাকা গ্রুপটির প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডমিন মো. নাঈম ইসলাম সোহাগ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্বের অন্যতম ধীরগতির শহর ঢাকা। যানজটে অতিষ্ঠ এই শহরের নাগরিকদের জন্য মেট্রোরেল আশির্বাদ হিসেবে এসেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে তুলে ধরার জন্যই এই ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। 

তিনি আরও বলেন, সবার কাছে মেট্রোরেলের ব্যবহারবিধি তুলে ধরা ও যাত্রীদের সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ‘মেট্রোরেল প্যাসেঞ্জার্স কমিউনিটি-ঢাকা’ নামের ফেসবুক গ্রুপ। মেট্রোরেলে কোনো কিছু হারিয়ে গেলে তা খুঁজে পেতে, নিয়মিত আপডেটস জানতে ও যাত্রীদের মতামত মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরতে কাজ করছে ফেসবুকভিত্তিক এই কমিউনিটি।

/এমএইচএন/কেএ