বাংলাদেশে চলমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও বিধিনিষেধ পরিস্থিতির কারণে ঢাকায় যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত দূতাবাস ভিসা আবেদন বন্ধ রেখেছে। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। 

দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না হওয়ার পাশাপাশি চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও বাড়লে ভিসা আবেদন বন্ধ রাখার সম্ভাবনা রয়েছে দূতাবাসগুলোর। এতে বিপাকে পড়তে হবে এসব দেশে গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের।

দেশে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ার কারণে সর্বপ্রথম বাংলাদেশিদের জন্য গত ৯ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত তথা ১০ দিনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত করে যুক্তরাজ্য। গত ২ এপ্রিল ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন জানায়, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য দশ দিনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত করেছে। তবে বাংলাদেশে বসবাসরত বৃটিশ, আইরিশ নাগরিকরা যাদের দেশটির আবাসিক মর্যাদা রয়েছে তারা চাইলে দেশে ফিরতে পারবেন।

যুক্তরাজ্য হাইকমিশনের ঘোষণার ১০ দিনের মাথায় গত ১২ এপ্রিল ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ভিসা আবেদন বন্ধ করে। এক বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানায়, ১৪ এপ্রিল থেকে নিয়মিত মার্কিন নাগরিকদের সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ সময়ে যেসব মার্কিন নাগরিকদের সেবা দেয়ার অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল তা পরে শিডিউলের মাধ্যমে জানানো হবে।

গত বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিধিনিষেধ শুরুর দিন ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত বাস্তবায়িত লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে সব ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

সবশেষ গতকাল শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত লোকজনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। গতকাল থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হলে ভিসা কার্যক্রম বন্ধ রাখবে দূতাবাস। এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ভিসা কার্যক্রমের বিষয়টি সম্পর্কে মন্ত্রণালয় অবগত রয়েছে। সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এনআই/আরএইচ