চট্টগ্রাম আদালত পাড়ায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দিনভর জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামানানের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এতে নগরের কোতোয়ালি থানার এলাকায় পাহাড়ের ওপর অবস্থিত বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসন কার্যালয় ও বিভিন্ন আদালতের ভবনে যাতায়াত সহজ হবে।

জেলা প্রশাসন জানায়, চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় বিভিন্ন সরকারি অফিসে বিচারকসহ ৩ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। এছাড়াও আদালত ঘিরে ৪ থেকে ৫ হাজার আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

এসব অফিস-আদালতে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার লোক যাতায়াত করে। বিপুল পরিমাণ লোকজনের যাতায়াতে ছোট একটি রাস্তায় প্রতিনিয়ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। কোনো কোনো সময় মুমূর্ষু রোগীকেও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। বিপুল সংখ্যক সেবা প্রত্যাশীকে বিশ্রামাগার, টয়লেট, সুপেয় পানি কিংবা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার মতো উন্মুক্ত কোনো স্থান এখানে নেই।

আদালত ঘিরে ১৭ জন দখলদার সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলে। এগুলো ছেড়ে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করা হলেও তা তারা শুনেননি। পরবর্তীতে তাদেরকে উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। এরপর তারা হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট পিটিশন দায়ের করে। ফলে উদ্ধার অভিযান স্থগিত হয়ে যায়। সম্প্রতি রিটের নিষ্পত্তি হলে বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামানান বলেন, অবৈধ এসব স্থাপনার কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। কোনো ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটলে গাড়ি যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। তাছাড়াও জেলা পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি ব্যবহার করে শত শত আসামিদের প্রতিনিয়ত আদালতে আনা-নেওয়া করে থাকেন। সেক্ষেত্রে যানজটের কারণে দুর্ধর্ষ কয়েদিদের আদালতে হাজির করা হুমকি স্বরূপ। উচ্ছেদ অভিযানের ফলে এখন এই এলাকায় যাতায়াতের স্বস্তি মিলবে।

অভিযানে বাঁকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ এফ এম শামীম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩০ জন, বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান,  কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এমআর/এসকেডি