ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, উৎপাদন, মজুদ, আমদানি এবং বিপণনের তথ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি কেন্দ্রীয় তথ্য ভাণ্ডারে সংরক্ষিত থাকবে, যার ড্যাশবোর্ড থাকবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। পাশাপাশি আমরা ফুড ফর নেশন উন্মুক্ত করে দেব। যেখানে আমাদের অনলাইন শপ এবং সাধারণ দোকানিরা মূল্যের হালনাগাদ করতে পারবেন। এর ফলে ভোক্তারা অভিযোগ করলেই আমরা অ্যাকশনে যেতে পারব। 

তিনি বলেন, এই প্লাটফর্মে উৎপাদন, মজুদ, আমদানি, বিপণনের তথ্য উন্মুক্ত থাকবে। পাশাপাশি যেখানে ক্রাইসিস দেখা দেবে সেখানে আমরা পরের ঘণ্টায় আমাদের সাপ্লাই দিয়ে বাজারকে স্থিতাবস্থায় নিয়ে আসতে পারব। যার ফলে অসৎ উদ্দেশ্যে মজুতদাররা লোকসানের সম্মুখীন হবে।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা যায় এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে জরুরি আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্যে চেষ্টা করতে নবগঠিত মন্ত্রিসভার সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ, ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আসলে যেকোনো পণ্যের উৎপাদন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, বিপণন এবং আমদানির ক্ষেত্রে যদি সঠিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং আদান-প্রদান করা যায়, তাহলে সমস্যাটির অনেকটাই সমাধান করা সম্ভব। 

তিনি বলেন, ইচ্ছা থাকলেই যে উপায় হয় এবং সংকট মোকাবিলায় সম্পদ কোনো বাধা নয় এটা আমরা করোনাকালে প্রমাণ করেছি। যেকোনো পণ্যের উৎপাদন, মজুত, বাজারজাতকরণ, বিপণন এবং আমদানির তথ্য আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দিতে চাই। রমজান উপলক্ষ্যে আমরা কল সেন্টারের একটি নম্বর বরাদ্দ করতে চাই। যেখানে যেকোনো ক্রেতা বা গ্রাহক ফোন করে পণ্যের দাম সম্পর্কিত তথ্যের আদান-প্রদান বা অভিযোগ করতে পারবেন। যার ফলে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

৩৩৩ কল সেন্টারের মাধ্যমে প্রায় ৯ কোটিরও বেশি মানুষ সেবা পেয়েছে উল্লেখ করে পলক বলেন, ডেটা অ্যানালাইসিস টুল, ওপেন ইনফরমেশন শেয়ারিং এবং কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট ব্যবহার করে ফুড ফর নেশন, ৩৩৩ কল সেন্টার, ও কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে। এছাড়া, এটি ব্যবহার করে শহর থেকে গ্রামের মূল্য পার্থক্য, মজুতদারদের কারসাজি কমিয়ে আনার পাশাপাশি উৎপাদকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

আরএইচটি/কেএ