মাদারীপুর জেলার সদর থানার নিশাবদী গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে পেটে টেঁটা ঢুকে যাওয়া শফিক শরিফকে (২৫) গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।

আহতরা হলেন, শফিক শরীফ (২৫), সাহেব আলী শরীফ (৬৫), ইয়াকুব আলী শরীফ (৫৫), আইয়ুব আলী শরীফ (৫০), মুক্তার খালাসী (৫০), জাহিদ খালাসি (২৭), শান্ত (২৪), আলাউদ্দিন শরীফ (৩৫), তৈয়াব আলী (৪০) ও পারভেজ (২৪)।

রোববার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জলিল মোল্লা গ্রুপ প্রতিপক্ষ ইয়াকুব আলী শরীফের গ্রুপের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। এদের মধ্যে ৮ জন ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং শফিক শরীফ ও ইয়াকুব আলী শরীফ দুজনে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহত ইয়াকুব আলী শরীফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত প্রথম রোজার দিন আমার দলের আবু বক্করকে মারপিট করে জলিল মোল্লা, সোবহান শরীফ ও মজিবর খানের লোকজন। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দিলে তারা আমাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে আজ সকালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা আমাদের অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমিসহ ১০ জন আহত হই। 

তিনি বলেন, হামলায় আমার ভাতিজা শফিক শরীফের পেটে টেঁটা ঢুকে যায়। প্রথমে আমরা ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসি। ভাতিজা শফিক শরিফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তার অবস্থা গুরুতর। অপারেশন চলছে। এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় দুজন ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এদের মধ্যে শফিক শরীফের পেটে টেঁটা ঢুকে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। জরুরিভাবে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এসএএ/ওএফ