বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় মানিকগঞ্জের পদ্মায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের মাঝ নদীতে ডুবে যাওয়া রজনীগন্ধা ফেরি উদ্ধারে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। 

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন।

তিনি বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় পদ্মায় ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধার করার জন্য বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তবে হামজা-রুস্তমের সেই সক্ষমতা আছে কিনা সেটিই দেখার বিষয়। এর আগের ফেরি দুর্ঘটনার সময় শেষ পর্যন্ত নৌবাহিনীর সহযোগিতা আমাদের নিতে হয়েছিল। ঘটনাস্থলেই বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান এবং ক্রয় ও সংরক্ষণ বিভাগের পরিচালক যাচ্ছেন। সেখানে তাঁরাই পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন। প্রাথমিকভাবে উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

দুর্ঘটনার বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে যতটুকু জেনেছি প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে ফেরিটি মাঝ নদীতে নোঙর করা ছিল। সেখানে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় এটি ডুবে যায়। তবে বিস্তারিত ঘটনা অনুসন্ধানের পর বলা যাবে।

এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের মাঝ নদীতে ডুবে যাওয়া রজনীগন্ধা ফেরি উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল।

প্রসঙ্গত, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছে মাঝ নদীতে নোঙর করে রাখা রজনীগন্ধা নামের ছোট একটি ফেরি ডুবির ঘটনা ঘটেছে। 

ফেরি দুর্ঘটনার বিষয়ে সবশেষ আপডেটে বলা হয়েছে— ফেরিটিতে ৭টি ছোট ট্রাক ও ২টি বড় ট্রাক ছিল। দীর্ঘসময় ফেরি উল্টে গিয়ে এর বেশকিছু অংশ পানির ওপরে ভাসমান ছিল। ফায়ার সার্ভিস সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। ফেরির সেকেন্ড ড্রাইভার হুমায়ূন কবির (৩৯) নিখোঁজ রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস এর উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

আরএইচটি/জেডএস