খুচরা বাজারে ভোক্তাদের জন্য ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কারওয়ান বাজারে চালের দোকানে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে শুরু করে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই তদারকি পরিচালনা করা হয়।

এ সময়, চালের বাজারে এই কার্যক্রমের শুরুতেই অনেক ব্যবসায়ী দোকান থেকে সটকে পড়েন। অবশ্য অন্যরা দাবি করেন, দোকানদাররা সকালের নাস্তা করতে গেছেন।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কুল প্রদীপ চাকমার নেতৃত্বে পরিচালিত এই তদারকি কার্যক্রমে খুচরা বাজারে চালের বিক্রয়মূল্য ক্রয়মূল্যের সঙ্গে যাচাই-বাছাই করা হয়। চালের দামের বিভিন্নতা যাচাই করে ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছতা বজায় রাখতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়।

উপসচিব কুল প্রদীপ চাকমা বলেন, খাদ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যে বৈঠক হয়েছে, সেখানে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, চার দিনের মধ্যে চালের দাম কমাবেন। আজকে দ্বিতীয় দিন। আমরা এখন বাজার ঘুরে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আরও দুই দিন এই তদারকি চলবে। এরপরও যদি দাম না কমানো হয়, তাহলে আমরা আমাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

তিনি বলেন, সেদিনের বৈঠকেই খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, আমরা কাউকে অসম্মান করতে চাই না। ব্যবসায়ীরা সম্মানিত মানুষ। রাষ্ট্রে তাদেরও অংশগ্রহণ রয়েছে। সবমিলিয়ে দৈনিক ভোগ্যপণ্যের বাজারে দাম বাড়ার কারণে মানুষের ওপর যেন চাপ না পড়ে, সেটি সরকার এবং আমাদের মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এমনকি দেশের অন্যান্য বিভাগ এবং জেলা পর্যায়েও এই কার্যক্রম চলছে।

তিনি আরও বলেন, চালের বাজারে খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি ব্যবসায়ীদের এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা আড়ৎদারদের দোষারোপ করছেন। এ বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখব।

নির্বাচনের সময় তদারকি কম হওয়ার কারণে সুযোগ বুঝে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছেন— এমন কথার সত্যতা আছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে কুল প্রদীপ চাকমা বলেন, এই মোটিভ আমরা বলতে পারব না, তবে স্পষ্ট করে একটি কথা বলতে চাই— আমরা যে খাদ্য আইন প্রণয়ন করেছি, সেখানে প্রতিটি ক্ষেত্রেই অনিয়ম করলে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। কেউ যদি পাইকারি পর্যায়ে এই দাম বাড়ানোর চেষ্টা করেন, তাহলে তার সাজা হবে। আমরা বারবার বলতে চাচ্ছি, কাউকেই আমরা অসম্মান করতে চাই না। এটা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য সবার সহযোগিতা দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেখ্য, আজকের বাজার তদারকিতে বিভিন্ন অসংগতির বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হলেও কোনো জরিমানা করা হয়নি।

আরএইচটি/কেএ