চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ বিদ্যুৎ ভবনে বশির উদ্দিন নামে এক ঠিকাদারকে জিম্মি করে মারধর ও চাঁদা দাবি করায় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে গ্রেফতারের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন ওসমান গণি দুলু (৪৫), নুরুল আফসার টিপু (৪৫), তৌহিদুল আলম (৪০), মো. ইকবাল (৪৭), শাহনুর শাহিন (৫৩) ও নুরুল কবির (৪৫)। এর মধ্যে ওসমান গণি দুলু সিআরবির ডাবল মার্ডার মামলার আসামি। 

নির্যাতনের শিকার বশির উদ্দিন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। তিনি বলেন, আসামিরা বিভিন্ন সময় যুবলীগ নেতা মোস্তফা কামাল টিপুর কর্মী পরিচয় দিয়ে মোবাইলে ফোন করে এবং সরাসরি দেখা করে চাঁদা দাবি করে। দুইদিন আগে শাহীন ও টিপু ফোন করে বলেন, টাকা না দিলে কর্ণফুলী ইপিজেডে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন স্থাপনের যে কাজ করছি তা করতে দেবে না। গত জুন থেকে যত কাজ করছি সবগুলোর দুই শতাংশ হারে চাঁদা দিতে হবে। অন্যথায় আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তারা ফোন করে আজকে দুই লাখ টাকা নিয়ে বিদ্যুৎ ভবনে আসতে বলেন। আমি তাদেরকে চল্লিশ হাজার টাকা দিতে রাজি হই। এই টাকা নিয়ে বিদ্যুৎ ভবনে এলে তারা তা নিতে রাজি হননি। একপর্যায়ে আমাকে ভবনের ছয়তলার একটি রুমে নিয়ে মারধর করা হয়। পরে বিষয়টি জানিয়ে আমি ডবলমুরিং থানায় ফোন করি। 

ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, বিদ্যুৎ ভবনের ছয়তলায় ঠিকাদার বশিরকে জিম্মি করে আসামিরা দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। বশির ডবলমুরিং থানাকে ফোনে ঘটনাটি জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে গ্রেফতার করে। আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে বিদ্যুৎ ভবনের ঠিকাদারদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। 

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। তারা যুবলীগের নাম বিক্রি করে চাঁদাবাজি করে আসছিল। আসলে তারা যুবলীগের কোন পদ-পদবীতে নেই। তবে তারা যুবলীগের নাম ব্যবহার করে অনেকদিন ধরে চাঁদাবাজি করছে। কেউ সাহস করে এতদিন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়নি। আজ অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। 

কেএম/আরএইচ/জেএস