রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজারে আজ বুধবার সকালে চালের বাজার মনিটরিংয়ে আসেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। হঠাৎ করে তারা বাজারে প্রবেশ করায় তাৎক্ষণিক সটকে পড়তে পারেননি চালের খুচরা দোকানিরা। কিন্তু নতুন বাজার এলাকায় চালের বাজার মনিটরিংয়ে আসার খবর আগে থেকেই পেয়ে যাওয়ায় আড়ৎ বন্ধ করে পালিয়ে যান চালের আড়ৎদাররা।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আব্দল্লাহ আল মামুন মহাখালী কাঁচা বাজার মনিটরিং শুরু করেন। পরে দোকানিদের তথ্যের ভিত্তিতে তিনি টিম নিয়ে চালের আড়তে যান। 

বাজার মনিটরিংয়ের শুরুতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ভ্রাম্যমাণ আদালত মহাখালী কাঁচা বাজারের মেসার্স জাকির ট্রেডার্সে যান। সেখানে বিভিন্ন চালের ক্রয় রশিদ খতিয়ে দেখেন তারা। পরে মিনিকেট চাল ৭০.৮০ টাকায় কিনে ৭২ টাকা বিক্রির একটি বিষয় তাদের নজরে আসে। পরে এ বিষয়ে দোকানিকে সতর্ক করা হয়। সে সময় ওই দোকানির লাইসেন্স নবায়ন করা আছে বলেও দেখা যায়।

একই বাজারের শিমু ট্রেডার্সে তেমন কোনো অসংগতি দেখা যায়নি। মূল্য তালিকায় লেখা দামের সঙ্গে ক্রয় মূল্যের সাদৃশ্য থাকায় পণ্য বিক্রির পরামর্শ দেওয়া হয়। এই দোকানের লাইসেন্সও নবায়ন করা আছে বলে দেখা যায়। 

এছাড়া, একই বাজারের মানিক ট্রেডার্স ও ইয়াছিন ট্রেডার্সেও কোনো অসংগতি পাওয়া যায়নি। তাদের লাইসেন্সও নবায়ন করা আছে।

তবে, আজাদ ট্রেডার্সে বেশি দামে চাল কেনার রশিদ পাওয়া যায়। পরে দোকানি আবুল কালাম আজাদ জানান, পাশের আড়ৎ থেকে তিনি চাল কিনেছেন। পরে সেই রশিদের কপি নিয়ে আড়তে যান খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

কিন্তু বাজার পেরিয়ে পুরাতন কাঁচা বাজার রোডের আড়তে গেলে দেখা যায়, আড়তের প্রতিটি দোকান বন্ধ করে রাখা হয়েছে। হঠাৎ কেন আড়তের দোকান বন্ধ— এটি খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, সকালেও আড়ৎ খোলা ছিল। কাঁচা বাজারে চালের দাম মনিটরিং করতে আসার খবর পেয়ে এই আড়ৎ বন্ধ করেছেন আড়ৎদাররা।

দেখা গেছে, আড়তের সাটার বন্ধ। তবে ভেতরে ফ্যান-লাইট চলছে। অনেক সাটার বন্ধ করলেও সেখানে তালা লাগানো নেই। পরে সেখানে বাজার মনিটরিং শেষ করা হয়। 

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম লিডার মো. আব্দল্লাহ আল মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকে আমরা বাজারে দেখলাম চালের দাম স্থিতিশীল আছে এবং কিছুটা কমের দিকে আছে। হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া চালের দাম কমছে। আমরা আশা করছি এই দাম কয়েক দিনের মধ্যে আরও কমে আসবে।

তিনি বলেন, বাজারের খবরেই আমরা আড়তে এলাম। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম আড়তের দোকান বন্ধ৷ কেন তারা বন্ধ করে রেখেছে, সেটি আমরা বলতে পারছি না।

এমএইচএন/কেএ