ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের ফুটপাতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে বুলডোজার দিয়ে শতাধিক দোকানপাট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করেন ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। ফুটপাত দখল করে এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন অবৈধ দখলদাররা। মেয়র সবসময় ঢাকা মেডিকেলের এই ফুটপাতটি অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশনা দেন। মেয়রের এই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেডিকেলের সামনের ফুটপাত রাস্তায় আজ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যে, একটি চক্র ফুটপাত ও রাস্তায় দোকান বসিয়ে প্রতিদিন এখান থেকে মোটামুটি চাঁদা আদায় করেন। আমরা আসার আগেই তারা বেশিরভাগ মালামাল সরিয়ে ফেলেন। মেডিকেলের কিছু কর্মচারী ও বাইরের লাইনম্যান এসব চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করেন। আমাদের অভিযানকালে তারা পালিয়ে যান। আমরা এখানে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকি, কিন্তু আমরা চলে যাওয়ার পরে আবার তারা দোকানপাট বসান।

জানা গেছে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের ফুটপাত, নতুন ভবনের প্রবেশপথের সামনে ও বাইরের ফুটপাতে দেড় শতাধিক অবৈধ দোকান বসিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করে একটি চক্র। রাস্তা এবং ফুটপাতে দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায় চক্রের মূলহোতা কথিত পুলিশের সোর্স আনোয়ার, জলিল ও ইকরাম। 

চক্রটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এবং নতুন ভবনের প্রবেশপথের সামনে ও বাইরে দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায় করে। পরে সেগুলো পুলিশ ও হাসপাতালের কর্মচারীদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে দেয়। আনোয়ার এবং জলিল দোকান বসিয়ে অগ্রিম বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা নেন। এখান থেকে তারা দৈনিক নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা তোলেন। ইকরাম ফুটপাতে বসা দোকানে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে এখান থেকে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করেন বলেও জানা গেছে।

এসএএ/কেএ