দশ মিনিটেই করোনা হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের দীর্ঘ সারি
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো রোগীতে পরিপূর্ণ। আইসিইউ ও শয্যা পাওয়ার আশায় রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে মহাখালীতে সদ্য চালু হওয়া ডিএনসিসি করোনা হাসপাতালে এসে ভিড় করছেন রোগীর স্বজনরা।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সকালে হাসপাতালটিতে দশ মিনিট অবস্থান করে দেখা গেছে, এই সময়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে একের পর এক রোগী আসছেন। যাদের অধিকাংশই জটিল অবস্থায় রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এই প্রসঙ্গে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের হাসপাতালটিতে গতকাল (১৯ এপ্রিল) রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত ১৪৯ জন রোগী হাসপাতালে এলেও ৮০ জনকে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৩২ জন এবং মারা গেছেন ৪ জন।
তিনি বলেন, রোগীদের অধিকাংশই জটিল সমস্যা নিয়ে আসছেন। তারা অল্প সময়েই বেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন এবং অবস্থা জটিল আকার ধারণ করছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি শুরু হয়। সে সময় হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বলেন, শুরুতে ২৫০ শয্যা দিয়েই হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই আমরা এটাকে পাঁচ শতাধিক শয্যায় পরিণত করব এবং এই মাসের মধ্যেই আশা করা যায় এক হাজার শয্যাই আমরা চালু করে দেবো।
হাসপাতালটিতে যা যা থাকছে
হাসপাতালটিতে ২১২ শয্যার অত্যাধুনিক কোভিড আইসিইউ শয্যা রয়েছে। ২৫০ কোভিড শয্যা (এইচডিইউ, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ও হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা) সহ অন্যান্য ব্যবস্থা থাকছে। এখানে ৫০ শয্যার জরুরি বিভাগ ও ছয় শয্যার ট্রায়াজ বেড রয়েছে। তাছাড়া ৫৩৮ কোভিড আইসোলেটেড কক্ষ থাকছে, যেগুলোতেও সিলিন্ডার অক্সিজেন ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটর থাকবে।
হাসপাতালটিতে সর্বমোট ১০০০ শয্যায় কোভিড রোগীর জরুরি চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। তাছাড়া ৫০০ কেভিএ জেনারেটর ও ১০০০ কেভিএ হাই ভোল্টেজ বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। অগ্নিনির্বাপণের জন্য ৯০ হাজার লিটার ওয়াটার রিজার্ভার থাকছে।
টিআই/জেডএস