নিরাপত্তা বিবেচনায় এবারও একুশে বইমেলাকে পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত রাখার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মেলা কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে যথার্থ বলে সাধুবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট।

তাদের মতে, একুশের বইমেলা বাঙালির প্রাণের উৎসব। শুধুমাত্র জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় নয় বইমেলার নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্রে এ স্থানটি শতভাগ ধূমপানমুক্ত হওয়া জরুরি।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ভাষার মাসের প্রথম দিনে শুরু হয়েছে অমর একুশের বইমেলা। দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষীদের ঐতিহ্যবাহী প্রাণের এ মেলায় থাকছে অগণিত কবি, লেখক, সাহিত্যিকের আনাগোনা এবং বাংলা বইয়ের বিপুল সম্ভার। পাঠক, বইপ্রেমী, লেখক, সাহিত্যিক, প্রকাশকদের পদচারণায় মাসব্যাপী মুখরিত থাকবে মেলা প্রাঙ্গণ। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ আর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চত্বরে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায় সুবিন্যস্ত করে সাজানো হয়েছে প্রায় ১ হাজার ইউনিটের স্টল, প্যাভিলিয়নসহ অন্যান্য পরিষেবার অস্থায়ী স্থাপনা।

আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালে প্রকাশিত ফায়ার সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, রাজধানীসহ সারা দেশে আগুনের যে সকল ঘটনা ঘটেছে এর মধ্যে সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা থেকে উৎপত্তি প্রায় ৪ হাজার। তামাকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ক্ষতি থেকে জনসাধারণকে রক্ষায় সরকার ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন প্রণয়ন করেছে। এ আইনে জনসমাগমস্থল হিসাবে যেকোনো মেলা প্রাঙ্গণও ধূমপানমুক্ত স্থানের অন্তর্গত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সার্বিক দিক বিবেচনায় জনবহুল এই স্থানটি ধূমপানমুক্ত ঘোষণা অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলা একাডেমির এই বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্যকে রক্ষার পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সর্বপরি প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে।

প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরে ঢাকা বাংলা একাডেমি এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সমন্বিত উদ্যোগে মেলা প্রাঙ্গণে লাইটার এবং সিগারেট নিয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ বছরও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা) আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

টিআই/এসকেডি