গত ১৬ দিনে সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে ১৩৩ কোটি ২১ লাখ টাকার মাছ, গরুর মাংস, দুধ, ডিম, মুরগি ও বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ চলাকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্যের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। এ কার্যক্রম নিয়ে খামারি ও ভোক্তাদের মধ্যে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ৫ এপ্রিল থেকে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) পর্যন্ত সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় ১৩৩ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৬৫ টাকা মূল্যের মাছ, গরুর মাংস, দুধ, ডিম, মুরগি ও বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি হয়েছে।

করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহন, সরবরাহ ও বিপণন কার্যক্রম নিয়মিত তদারকি করছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও সচিব রওনক মাহমুদ।

এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, করোনার এ ভয়াবহ ক্রান্তিকালেও মন্ত্রণালয় এবং সারাদেশে মৎস্য অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ডেইরি অ্যাসোসিয়েশন, পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন, মৎস্যজীবী অ্যাসোসিয়েশনসহ প্রান্তিক খামারিরা ঝুঁকি নিয়ে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখছেন। গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা করোনা ঝুঁকির মধ্যেও মন্ত্রণালয়ের এ সময়োপযোগী উদ্যোগ জনসম্মুখে তুলে ধরছেন। এজন্য প্রত্যেককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, এতে একদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিরা যেমন ন্যায্যমূল্যে উৎপাদিত পণ্য সহজে বিপণন করে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারছেন, অন্যদিকে ভোক্তারা চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেও চাহিদা অনুযায়ী মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্য সহজে ক্রয় করতে পারছেন।

এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, করোনা পরিস্থিতি ও পবিত্র রমজান মাসে জনসাধারণের প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিতকরণে দেশের ৮টি বিভাগের ৬৪ জেলায় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্যের ভ্রাম্যমাণ বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। এ কাজে সম্পৃক্ত আমাদের মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডেইরি, পোলট্রি ও মৎস্য খামারি এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

একে/এসকেডি