ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জনগণের কষ্টার্জিত টাকা থেকেই আমাদের বেতন-ভাতা হয়। তাই আমাদের কাজের মধ্য দিয়ে দেশ ও জনগণের সেবা করতে হবে। অর্থ ও সম্পদের সাশ্রয় করে অধিক সেবা প্রদান এবং কাজের মধ্যে নিজেদের আত্মতৃপ্তি খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার প্রত্যাশা থাকবে, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রতি বছর অপারেশনাল, পার্সোনাল ও অর্গানাইজেশনাল ব্যয় কত হয়, তার একটা স্বচ্ছ হিসাব তৈরি করা হবে। আগামী পাঁচ মাসে কীভাবে আমরা টেলিযোগাযোগ বিভাগকে স্মার্ট প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে পারি, সেজন্য একটা শর্টটার্ম পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ২০২৬ সালে আমরা যখন মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হব, তখন সামগ্রিক উন্নয়নের পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভূমিকা কী হবে তার একটা পরিকল্পনা থাকতে হবে। তারপর, ২০৩১ এবং ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট টেলিযোগাযোগ বিভাগ গঠনের পরিকল্পনা থাকতে হবে।

করোনা মহামারি এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার ফলে বিশ্বব্যাপী একটা সংকটকালীন অবস্থা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সংকটকে বিবেচনায় রেখে এবং জনগণের সুবিধার কথা মাথায় রেখে অতি প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলোই শুধুমাত্র আমরা হাতে নেব। পাশাপাশি চলমান প্রকল্পগুলোরও ব্যয় কমানোর চেষ্টা করব।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ, দক্ষ মানবসম্পদ, ক্যাশলেস এবং পেপারলেস সমাজ ও সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। সজীব ওয়াজেদ জয়ের অনুপ্রেরণা ও পরামর্শে ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেছিলেন। পরিকল্পনা ঘোষণার পর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ নকশা এবং মেধাবী নেতৃত্বে ১৪ বছরের যাত্রায় সফল বাস্তবায়নের পর ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেল। একইভাবে আমাদের সামনে ১৭ বছরের একটা দীর্ঘ পথচলা। আগামী ১৭ বছরে কীভাবে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন করব, আগামী ৫ বছরেই আমাদেরকে তার ভিত্তি তৈরি করতে হবে।

স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট এই চার স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে উল্লেখ করে পলক বলেন, পরিবর্তন একটা প্রাকৃতিক নিয়ম, এই পরিবর্তনের সাথে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনও জরুরি। পাশাপাশি এই পরিবর্তনে আমরা কী শুধুমাত্র খাপ খাইয়ে নেব, না নেতৃত্ব দেব, সেটি আমাদের নির্ধারণ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরএইচটি/কেএ