জমে উঠেছে অমর একুশে বইমেলা। মেলার মূল প্রাঙ্গণে ঢুকলেই দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। অবশ্য, ধুলাবালির কারণে বেশ ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে মেলায় আসা দর্শনার্থীদের। প্রতিদিন দুপুরে ধুলাবালির পরিমাণ কমাতে পানি ছিটানো হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ করেছেন দর্শনার্থী ও বিক্রেতারা।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের বইমেলায় এই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।

মেলায় সরেজমিনে দেখা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। প্রবেশপথগুলোতে রয়েছে মানুষের সারি। ভেতরে প্রবেশের সময় প্রথমেই চোখে পড়বে মেলার সুন্দর সাজানো স্টল ও প্যাভিলিয়নের। অবশ্য গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই ধুলাবালিময় বাতাসের ঝাপটা মুখে লাগছে। দর্শনার্থী বেশি হওয়ায় এবং শীতকাল হওয়ায় ধুলাবালি অনেক বেশি বলে জানান কয়েকজন পাঠক ও বই বিক্রেতা। 

যদিও প্রতিদিন দুপুরে বইমেলা প্রাঙ্গণে পানি ছিটানো হয় ধুলা কমানোর জন্য। তবে, তা পর্যাপ্ত না হওয়ায় বিকেল না হতেই ধুলা উড়তে শুরু করে। ফলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ধুলামলিন অবস্থা বিরাজ করে। এতে বাধ্য হয়ে অনেক দর্শনার্থী ও বিক্রেতাকে মাস্ক পরে বইমেলায় অবস্থান করতে হয়।

বই বিক্রি করতে থাকা একটি প্যাভিলিয়নের বিক্রেতা শামীম ইসলামকে দেখা যায় মাস্ক পরে আছেন। এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, বাইরে অনেক ধুলাবালি, বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছে না। তাই যখন ক্রেতা আসছেন না, তখন মাস্ক পরেই থাকছি। বেশিক্ষণ মাস্ক খোলা থাকলে অ্যালার্জিতে কাশি শুরু হয়ে যায়। 

বইমেলায় ঘুরতে আসা পাঠক সালমান ফারসি বলেন, বইমেলায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এসেছি। বেশি ধুলাবালি হওয়ায় বেশিক্ষণ টিকে থাকা কষ্টকর হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মিলে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গা জুড়ে এবার আয়োজন করা হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। মেলায় রয়েছেন ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠান এবং ৩৭টি প্যাভিলিয়ন। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিটসহ মোট ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

কেএইচ/কেএ