যানজটের সমস্যা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, একই পরিবারের একাধিক গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নিয়ে আমাদের চিন্তা করার সময় এসেছে।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ঢাকার যানজট : মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেস ওয়ের প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, পর্যায়ক্রমে ঢাকার নাগরিক সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে। তিনি বলেন, ঢাকা পৃথিবীর জনবহুল শহরগুলোর অন্যতম এবং প্রতি বর্গ কিলোমিটারে সবচেয়ে বেশি মানুষ বসবাস করে এ শহরে। তাছাড়াও অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে এ শহরে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নানা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।

আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও জবাবদিহিতার ওপর জোর দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে পার্কিং ব্যবস্থায়ও শৃঙ্খলা আনা জরুরি হয়ে পড়েছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ঢাকাকে আধুনিক শহরে পরিণত করতে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এরই ফলশ্রুতিতে আজ ঢাকায় মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ের মতো দ্রুতগতি সম্পন্ন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। ঢাকার সব সমস্যা রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয়, ধীরে ধীরে সব সমস্যা সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।

তিনি দখলমুক্ত ফুটপাতের ওপর জোর দিয়ে বলেন, হাঁটার পরিবেশ পেলে নাগরিকরা স্বল্প দূরত্বে হেঁটে গেলে তা পরিবেশের জন্য এবং নাগরিকদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে সেক্ষেত্রে হকারদের পুনর্বাসন অথবা তাদের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ দেওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডুরা) সভাপতি ওবায়দুর মাসুমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মোল্লার সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান, বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ প্রমুখ।

এএসএস/এসএসএইচ