আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অন্যতম এই মিলনমেলা শেষ হতেই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে টঙ্গীর সড়ক। তবে গন্তব্যে ফিরতে ভোগান্তির মুখে পড়েছেন ইজতেমায় আসা মানুষদের।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ৪৩ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শেষ হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা সাদ কান্ধলবীরের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। মোনাজাতে অংশ নিতে লাখ লাখ মুসল্লি সমবেত হন টঙ্গীর তুরাগতীরে। এতে করে ঢাকা ও গাজীপুরমুখী উভয় সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তির মুখে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।

তবে মোনাজাত শেষ হতেই সড়ক খুলে দেওয়া হয়। ফলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে যানজট পরিস্থিতি। তবে যাত্রীর তুলনায় গণপরিবহনের সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন ইজতেমায় আসা মুসল্লিরা। অনেকেই বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে ফেরার চেষ্টা করছেন।

জয়দেবপুর থেকে ইজতেমায় আসা আকরাম বলেন, সকালে বাস না পাওয়ায় হেঁটে আসতে হয়েছে। এখন বাস পাওয়া না গেলে বাড়ি ফিরতে কষ্ট হয়ে যাবে।

আরেক মুসল্লি আল আমিন বলেন, জানি বাস পাওয়া যাবে না, তাই হেঁটেই রওনা হয়েছি।

অনেকেই পিকাপ, মোটর সাইকেল, অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে গন্তব্যে ফেরার চেষ্টা করছেন। তবে গণপরিবহনের অপ্রতুলতার সুযোগে দ্বিগুণ ভাড়া হাঁকাচ্ছে তারা।

অটো রিকশাচালক মেহেদি বলেন, আজকের দিনের জন্য ভাড়া একটু বেশি। অন্য সময় তো রেগুলার ভাড়াই নিয়ে থাকি। আজ রাস্তায় গাড়ি সংকট কিন্তু মানুষ হাজার হাজার। লোকজনের কারণে রাস্তায় মানুষের জ্যাম পড়ে গেছে। তাই ভাড়াটা বেশি নিতে হচ্ছে।

ইজতেমা শেষে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছেন মোতালেব হোসেন। তিনি বলেন, বেশি ভাড়া চাওয়া সত্ত্বেও যেতে হচ্ছে। কারণ রাস্তায় মানুষ অনেক বেশি, কিন্তু গাড়ি কম।

ওএফএ/এমএ