জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঝিনাইদহের মহেশপুর থানাধীন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে পাচারের চেষ্টাকালে তিন নারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের ভারতে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে জানা গেছে।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ৯৯৯-এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ওই তিন নারী ঢাকার ডেমরায় বসবাস করেন। তাদের ভারতে কাজ দেওয়ার কথা বলেন মুন্নী নামের এক নারী। পরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি মুন্নী নামের ওই নারীর মাধ্যমে তারা ঝিনাইদহের মহেশপুর থানাধীন সীমান্তবর্তী যাদবপুর ইউনিয়নের জলুলী গ্রামে আসেন। এরপর একটি বাড়িতে তিন দিন ধরে তাদের বন্দি করে রাখা হয়। এমন তথ্য জানিয়ে শনিবার (১০ নভেম্বর) রাত ২টায় ৯৯৯-এ ফোন করে জরুরি উদ্ধার সহায়তার অনুরোধ জানান ভুক্তভোগী তিন নারীর একজন।

পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, ওই কলার কল করে জানান, তার বয়স ২৫ বছর। তার সঙ্গে থাকা অন্য দুইজনের বয়স যথাক্রমে ২২ ও ৪০ বছর। তিনি জানান, যেকোনো সময় তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হতে পারে। তাই তিনি দ্রুত উদ্ধার সহায়তার অনুরোধ জানান।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কলটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯-এর কলটেকার কনস্টেবল মমিনুর রহমান। কনস্টেবল মমিনুর তাৎক্ষণিকভাবে ঝিনাইদহের মহেশপুর থানায় ঘটনাটি দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানান। পরে ৯৯৯-এর পুলিশ ডেসপাচার এসআই মো. মহিউদ্দিন মুন্না কলার এবং উদ্ধার সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিতে থাকেন।

সংবাদ পেয়ে মহেশপুর থানার একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ওই নারীকে তাদের অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার।

মহেশপুর থানার উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্ব দেওয়া এসআই শরীফুজ্জামান ৯৯৯-কে এ ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এমএসি/কেএ