অনুষ্ঠিত হলো ঢাকাই নেহারি উৎসব। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পুরান ঢাকার লালবাগে ওয়েস্ট অ্যান্ড হাই স্কুল প্রাঙ্গণে অনাড়ম্বরপূর্ণ এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। ঢাকার ইতিহাস ও ঐতিহ্য গবেষণা কেন্দ্র ‘ঢাকা ফোরাম’ ও সামাজিক সংগঠন ‘ঢাকাইয়া ঐক্য’ ছিল এর আয়োজক।

ভিন্নধর্মী আয়োজনটি হয়ে উঠেছিল ঢাকাবাসীর মিলনমেলা। উৎসবে ঢাকাই নেহারি, নানরুটি ও পনিরের চা পরিবেশন করা হয়। ২০১৯ সাল থেকে ধারাবাহিক এ উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে।

উৎসবে কাওয়ালি পরিবেশন, অভ্যাগতদের স্মৃতিচারণ, ঢাকাই ছড়া ও বনেদি ঘরানার নেহারি পরিবেশন করা হয়। ‘খালি খাওন পিন্দন আমগো ঐতিহ্য না, মিল মহব্বতও আমগো ঐতিহ্য’। ‘আমরা ঢাকাইয়া গো কলিজা বড়, আমরা খাইবার বি পারি, আবার খিলাইবার বি পারি’–এরকম নানান ঢাকাইয়া বচনের ফেস্টুন টানানো ছিল অনুষ্ঠান স্থল জুড়ে। 

বিশ্বব্যাপী প্রতিটি আঞ্চলিক ভাষারই নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেকোনো অঞ্চলের ভাষা তার আঞ্চলিক পরিচিতির অন্যতম নৃতাত্ত্বিক উপাদান। ঢাকাইয়া ভাষাও তার ব্যতিক্রম নয়।

আয়োজন নিয়ে ঢাকা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক লেখক ও গবেষক সাদ উর রহমান বলেন, ‘পেশা ও যাপিত জীবনের তাগিদে আমাদের ব্যস্ততায় মানবিক সংযোগটি যেন হারিয়ে না যায়। মানুষের মাঝে পরস্পরের প্রতি সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্বের বন্ধনটি যেন জাগ্রত থাকে, সেই লক্ষ্যে এই ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর পরিসরে ঢাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত সম্পৃক্ততায় এই উৎসব আয়োজনের আশা ব্যক্ত করি। 

তিনি বলেন, ঢাকার আদি ঘরানার রন্ধনশৈলীতে নানা খাবারের মাঝে নেহারি অন্যতম। ঢাকাবাসী এবং আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে তার খাদ্য সংস্কৃতি একটি নমুনা তুলে ধরার প্রয়াসে এই নেহারি উৎসবের আয়োজন। আমরা নেহারিকে উৎসবের ব্যতিক্রম থিম হিসেবে বেছে নিয়েছি। উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অতিথিরা বনেদি এই নেহারির স্বাদ নিতে একত্রিত হন।

কেএ