পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওঠা এক হাজার টাকায় ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসার অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রতিবেদন দিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সংস্থাটি বলছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তিকে তদন্ত করে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা সমীচীন।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক ফারহানা সাঈদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে কমিশন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘১০০০ টাকায় ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা চেয়ারম্যানের!’ শীর্ষক সংবাদ প্রতিবেদনের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। 

জানা গেছে, পাবনার বেড়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনা এক হাজার টাকা জরিমানায় ধামাচাপা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। চাকলা ইউনিয়নে গত ৩১ জানুয়ারির ওই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় সম্প্রতি থানায় মামলা দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার নারী। এরপর গ্রেপ্তার হয় মামলার প্রধান আসামি।

কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, ধর্ষণের মতো ঘটনায় একজন ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক অভিযুক্তকে এক হাজার টাকা জরিমানা, নাকে খত ও কান ধরে উঠ-বস করিয়ে মীমাংসা করে দেওয়া সংক্রান্ত অভিযোগের ঘটনাটি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। বিষয়টি দেশের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের শামিল মর্মে কমিশন মনে করে। এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তিকে তদন্তপূর্বক চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা সমীচীন।

এ অবস্থায়, এখতিয়ার বহির্ভূত আপস মীমাংসা করা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঘটনার আলোকে তদন্তপূর্বক একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করতে সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়-কে বলা হয়।

একই ঘটনায় বেড়া থানায় দায়ের করা মামলায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারসহ মামলার তদন্ত কাজ নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের সঙ্গে সঙ্গে তা কমিশনকে অবহিত করার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ এর ১৭(১) ধারা মোতাবেক পাবনা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

জেইউ/কেএ