কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, কাঁচা পাট ও পাট পণ্য রপ্তানি করে ৩-৪ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। যার মূল্যমান ১.২০ বিলিয়ন ইউএস ডলার। দেশের জিডিপিতে পাট খাতের অবদান ১.৪ শতাংশ এবং কৃষি জিডিপিতে পাট খাতের অবদান ২৬.২৬ শতাংশ। বিশ্বে আঁশ উৎপাদনে তুলার পরই ২য় গুরুত্বপূর্ণ আঁশ হিসেবে পাটের অবস্থান।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) প্রধান কার্যালয়ে “বিজেআরআই এবং জেনোম গবেষণা কেন্দ্রের সাফল্য ও সম্ভাবনা” বিষয়ক একটি সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকার পাটকে ‘কৃষি পণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী পাট ও পাট পণ্যকে ‘বর্ষপণ্য ২০২৩’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। বিশ্বে আঁশ উৎপাদনে তুলার পরই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ আঁশ হিসেবে পাটের অবস্থান। বিশ্বে পাট উৎপাদনে এবং পাট রপ্তানিতে বাংলাদেশের পাট প্রথম অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের ৪০-৫০ লাখ কৃষক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাট উৎপাদনের সাথে জড়িত। ২০১০ এবং তার পরবর্তী সালে ৭-৮ লাখ হেক্টর জমিতে ১৪.৫-১৬.২ লাখ টন পাট ও পাট জাতীয় আঁশ উৎপন্ন হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭.৪৫ লাখ হেক্টর জমিতে ১৫.০২ লাখ টন পাট উৎপন্ন হয়।

তিনি আরও বলেন, সার্বিকভাবে কৃষিই হলো খাদ্যনিরাপত্তা থেকে শুরু করে শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহের সবচেয়ে শক্তিশালী উৎসস্থল। কৃষিপণ্য হিসেবে পাট বিশ্বে ২৮২ ধরনের পণ্য রপ্তানি করে থাকে। পাট খাতের বৈশ্বিক রপ্তানি আয়ের ৭২ শতাংশ এখন বাংলাদেশের দখলে।

এএসএস/এমজে